ওসমান হারুনী 30 November, 2022 01:46 PM
শীতকালীন আগাম সবজির বেগুন এবার বাম্পার ফলন হয়েছে জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলায়। তবে দাম কম হওয়ায় কৃষকরা হতাশা প্রকাশ করেছেন। ইসলামপুরের ঐতিহ্যবাহী এই বেগুন স্থানীয় সবজির চাহিদা পুরণ হয়ে দেশের রাজধানীসহ যাচ্ছে সারাদেশে।
প্রচীন সূত্র কাঁসা, বেগুন ও গুড় এই তিনে মিলে ইসলামপুর। জামালপুর জেলার ইসলামপুরের কৃষকদের উৎপাদিত ঐতিহ্যবাহী এই বেগুন খেতে অনেক সুস্বাদু ও পুষ্টিকর। তাই সারাদেশে এই অঞ্চলের বেগুনের চাহিদা থাকায় প্রতিবছর অনেক কৃষক বেগুন চাষাবাদ করে লাভবানসহ জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। চলতি মৌসুমেও ইসলামপুর উপজেলায় প্রায় ১৭শত হেক্টর জমিতে বেগুনের চাষাবাদ হয়েছে। ফলনও হয়েছে বাম্পার। শীতকালীন আগাম সবজি হিসাবে ইসলামপুরের ঐতিহ্যবাহী এই বেগুন স্থানীয় সবজির চাহিদা পুরণ হয়ে ইতোমধ্যে দেশের রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে পরিবহনে যাচ্ছে। চাষিরা গাছ থেকে ছাটাই করে বেগুন মজুত করছেন রাস্তার পাশে। বেগুন ফলন আসার শুরু থেকেই পাইকাররা সরাসরি কৃষকের ক্ষেত থেকে বেগুন কিনছেন। ছোট, বড়, মাঝারিসহ সাইজ লম্বা বেগুন প্রকার ভেদে ৩শত টাকা থেকে ১০ হাজার টাকা মনপ্রতি বিক্রি হচ্ছে। তবে বীজ, কীটনাশকসহ কৃষি শ্রমিকদের মজুরি ও চাষাবাদে খরচ বেড়ে যাওয়ায় বাজারে এবার একটু দাম কম পাওয়ায় হতাশায় পড়েছেন কৃষকরা।
এব্যাপারে ইসলামপুর উপজেলা কৃষি অফিসার এ.এল.এম.রেজুওয়ান জানিয়েছেন, এই বছর উপজেলায় ৫০হাজার মেট্রিক টন বেগুন উৎপাদিত হবে। ইসলামপুরের ঐতিহ্যবাহী উৎপাদিত এই বেগুন সারাদেশে চাহিদা ও সু-খ্যাতি রয়েছে। প্রতিবছর স্থানীয় চাহিদা পূরণ হয়ে সারাদেশে যায়। বেগুন চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করতে সঠিক পরামর্শ দেওয়া হয়। যার ফলে ফলনও ভাল হয়।
দেশের সবজি চাহিদা পূরণে এই অঞ্চলের কৃষকদের বেগুন উৎপাদনে সঠিক পদ্ধতি উপজেলা কৃষি বিভাগ বীজ ও সারসহ সার্বিক সহায়তা এগিয়ে আসবেন এটাই প্রত্যাশা বেগুন চাষীদের।