রহমত নিউজ ডেস্ক 29 November, 2022 10:41 PM
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, করোনার সময় আমরা সব সমালোচনা সহ্য করেছি। কোনও জবাব দিইনি। সেই সমালোচনাকে আমরা তোয়াক্কা করিনি। আমরা যুদ্ধে লিপ্ত ছিলাম। আমরা কাজ করে গিয়েছি। করোনা যে দেশ নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি, সেই দেশের অবস্থা খারাপ হয়ে গেছে। আমাদের কাছে টিকা ছিল, সিরিঞ্জ ছিল না। প্রধানমন্ত্রী ব্যবস্থা করে দিলেন, আমরা সিরিঞ্জ নিয়ে আসলাম। বয়সের বিবেচনায় আমরা টিকা দিয়েছি। বিদেশে যারা গেছেন, তাদেরও আলাদাভাবে টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা আমরা করেছি। আমাদের কর্মকর্তারা হচ্ছেন একদম মাঠপর্যায়ে ‘আনসাঙ্গ হিরো’। আমাদের কর্মকর্তাদের অক্লান্ত পরিশ্রমের কারণে আমরা তা দিতে পেরেছি বেশির ভাগ মানুষকে। এ জন্য আজ দেশ ভালো আছে, কার্যক্রম ভালোভাবে চলছে।
মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর হোটেল রেডিসনে কোভিড-১৯ যোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিলের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মোদাচ্ছের আলী, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব সাইফুল ইসলাম বাদল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম, অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন-বিএমএ সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন প্রমুখ।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আগামীতে অনেক কাজ আছে, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় আমরা প্রায় ১৫ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দিয়েছি। ২৫ হাজার নার্স এখন পর্যন্ত নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। অনেকগুলো কাজ আমরা করোনার মধ্যে করেছি। স্বাস্থ্যব্যবস্থায় অনেক অবকাঠামোগত উন্নয়ন হয়েছে, এখন আমরা চাই মান উন্নয়ন করতে। মাঠপর্যায়ে যারা কাজ করেন, তাদের দায়দায়িত্ব অনেক বেশি। স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নের মাধ্যমে সুনাম অর্জন করতে চাই। যেমনটা আমরা কোভিড মোকাবিলায় সারা বিশ্বে সুনাম অর্জন করেছি। করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধে ডাক্তার, নার্স টেকনিশিয়ানরা কেউ ভয়ে পিছপা হননি। কেউ যুদ্ধ থেকে সরে যাননি। করোনাকালীন দিনগুলো আমরা ভুলিনি। আমরা ভেবেছিলাম করোনা বাংলাদেশে আসবে না। কিন্তু ২০২০ সালের মার্চ মাসে আমাদের দেশে প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। মৃত্যুর ঘটনাও একই মাসে ঘটে। আমরা মুক্তিযুদ্ধ অংশ নিতে পারিনি। কিন্তু আমরা করোনাকেই একটা যুদ্ধ হিসেবে নিয়েছি। করোনকালে আমরা কেন আগাম প্রস্তুতি নিইনি, সেটা নিয়ে অনেকে প্রশ্ন করেছেন, সমালোচনা করেছেন। অথচ এটা সম্পূর্ণ নতুন ছিল, এর বিষয়ে আমরা কিছু জানি না। আগাম প্রস্তুতি কী করে নেবো? করোনাকালে আমরা হাসপাতাল তৈরিতেও বাধা পেয়েছি। ভয়ে অনেক এলাকার লোকজন হাসপাতাল তৈরি করতে দিতে চায়নি। করোনা মোকাবিলায় চিকিৎসক, নার্স স্বাস্থ্যকর্মী, সেনাবাহিনী, পুলিশ বেসরকারি চিকিৎসা খাত ও গণমাধ্যমের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ এবং ধন্যবাদ দেন তিনি।