| |
               

মূল পাতা সারাদেশ জেলা বিএনপি সমাবেশের নামে ষড়যন্ত্রের পাল্টা জবাব দেয়া হবে : হানিফ


বিএনপি সমাবেশের নামে ষড়যন্ত্রের পাল্টা জবাব দেয়া হবে : হানিফ


রহমত নিউজ ডেস্ক     26 November, 2022     06:47 PM    


বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ এমপি বলেছেন, বাঙ্গালী জাতির বিজয়ের মাস ডিসেম্বরে রাজাকার-আলবদরদের কোন ধরণের আস্ফালন সহ্য করা হবে না। আগামী ১০ ডিসেম্বর বিএনপি-জামায়াত সমাবেশের নামে কোন ধরণের নাশকতার ষড়যন্ত্র করলে- পাল্টা জবাব দেয়া হবে। যারা সমাবেশের নামে বিভিন্ন স্থানে উস্কানিমূলক বক্তব্য দিচ্ছেন, তাদের ধারণা ১০ ডিসেম্বর সমাবেশের পর এই সরকারই থাকবে না। ডিসেম্বর মাসে রাজাকারদের ভেংচি কিংবা হুমকী- এগুলোকে বাংলাদেশের মানুষ কখনও পরোয়া করে না। আমরা তাদেরকে পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিতে চাই- সমাবেশকে কেন্দ্র করে বিএনপি যদি কোন ষড়যন্ত্রের পথ খোঁজেন, তবে তার উচিত জবাব আপনারা পাবেন।

আজ (২৬ নভেম্বর) শনিবার দুপুরে জেলার হাজীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের ত্রিবার্ষিকী সম্মেলনের প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন। সম্মেলনে পুনরায় হেলাল উদ্দিন-কে সভাপতি ও গাজী মাউনুদ্দিন-কে সাধারণ সম্পাদক করে, তিন বছরের জন্য নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়।

হানিফ বলেন, বিএনপি আজকে মানুষের পায়ে পাড়া দিয়ে গোলযোগ সৃষ্টি করতে চায়। তারা সমাবেশের নামে বিভিন্ন জায়গায় উসকানিমূলক বক্তব্য দিচ্ছে। তাদের ভাবখানা এমন যে ১০ তারিখের পর সরকারই থাকবে না। তারাতো বলেই দিয়েছে- ১০ ডিসেম্বরের পর নাকি দুর্নীতিবাজ খালেদা জিয়ার কথায় দেশ চলবে। আমরা বলতে চাই- ডিসেম্বর মাস আমাদের বিজয়ের মাস। ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির মাস। এ মাস কোনো রাজাকার-আলবদরদের হতে পারে না। ডিসেম্বর মাসে ষড়যন্ত্র করতে যদি মাঠে নামেন, তাহলে বাংলার জনগণ উচিত শিক্ষা দিয়ে দেবে।

তিনি আরো বলেন, বিএনপি ঢাকায় নাকি ১০ লাখ লোকের সমাবেশ করবে। তাতে আমাদের কোনে আপত্তি নেই। তারা সমাবেশ পল্টনে করতে চায়। কিন্তু তাদের জনসমাগম দেখে পুলিশ কমিশনার জানিয়েছেন সোহরাওয়ার্দী উদ্যান সমাবেশের জন্য ভালো হবে। তারা সেখানে সমাবেশ করবেন না। পল্টনেতো ৫০/৬০ হাজারের বেশি লোকের জায়গা হবে না। তারপরও কেন তারা সেখানে করতে চায়। কারণ দুটি, একটি হলো সোহরাওয়ার্দী উদ্যান হলো আমাদের মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত জায়গা। এখানে বঙ্গবন্ধু ৭ মার্চের ভাষণে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। আর এখানেই ১৯৭১ সালে পাকিস্তানিরা আত্মসমর্পণ করেছিল। সেই কারণেই তারা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যেতে চায় না। সোহরাওয়ার্দী উদ্যান রাজাকার-আলবদরদের জন্য একটি মনোকষ্টের জায়গা।

হাজীগঞ্জ উপজেলার সভাপতি আলহাজ্ব হেলাল উদ্দিন মিয়াজীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক গাজী মো. মাঈনুদ্দিনের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এমপি, সংসদ সদস্য মেজর অবসরপ্রাপ্ত রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম এমপি, সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাড. নূরজাহান বেগম মুক্তা, জেলার সভাপতি নাছির আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটোয়ারী দুলাল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট জহিরুল ইসলাম, আহসান উল্লাহ আখন্দ, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. হারুন অর রশিদ সাগর, প্রচার সম্পাদক আবু নাসের বাচ্ছু পাটওয়ারী।


এই এলাকার অন্যান্য সংবাদ দেখতে ক্লিক করুন: চট্টগ্রাম চাঁদপুর হাজীগঞ্জ