রহমত নিউজ ডেস্ক 26 November, 2022 02:42 PM
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, সরকারের কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। সব থেকে যেখানে ভালো সেখানেই সরকার অনুমতি দেয়। তারা পল্টনে সমাবেশ করবে এমন কোনো অফিসিয়াল অনুমতি এখনো আসেনি। বিএনপি আমাদের কাছে আসছিল। তারা তিনটি জায়গার কথা বলেছিল। তার মধ্যে একটি ছিল সোরওয়ার্দী উদ্যান। আপনাদের কাছেই আমার জিজ্ঞাসা। এতো বড় গ্যাদারিং কোথায় তারা করবে? বিএনপি চেয়েছিল সংসদ ভবনের সামনে, কিন্তু সংসদ ভবনের সামনে কাউকে সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয় না।
শনিবার (২৬ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর ঢাকা ক্লাবে আয়োজিত ‘দ্বিতীয় শেখ কামাল সার্ক স্নুকার চ্যাম্পিয়নশিপ-২০২২’ এর উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাধ্য হয়ে সরকার কোথাও অনুমতি দেবে না। সরকার যেখানে ভালো মনে করে সেখানেই অনুমতি দেওয়া হয়েছে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ছাড়া বড় সমাবেশ সম্ভব নয়। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ভেন্যু বিএনপিই চেয়েছে। ডিএমপি কমিশনার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানই উপযুক্ত মনে করেছেন এজন্য বিএনপিকে সেখানেই অনুমতি দেওয়া হয়েছে। আমাদের আওয়ামী লীগের কিছু দলীয় প্রোগ্রাম রয়েছে, সেগুলো শেষ হয়ে যাবে। এরপর বিএনপি সেখানে সমাবেশ করতে পারবে। বিএনপি কি বলছে সেটা আমরা জানি না।
তিনি বলেন, আনসার আল ইসলামের সামরিক শাখা প্রধান ও একাধিক মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মেজর (বহিষ্কৃত) জিয়া কৌশলে লুকিয়ে আছেন, তাই ধরা যাচ্ছে না। দুই জঙ্গি ছিনতাইয়ের ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির রিপোর্ট শিগগিরই পাওয়া যাবে। খুব দ্রুতই পালিয়ে যাওয়া জঙ্গিদের লোকেশন পাওয়া যাবে। আদালত প্রাঙ্গণ থেকে দুই জঙ্গি ছিনতাইয়ের ঘটনায় এখনও কোনো তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পাওয়া যায়নি। আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কাজ করছে। আদালত থেকে দুই জঙ্গি ছিনতাইয়ের ঘটনায় যারা সহযোগিতা করেছিল তাদের মধ্যে এক জঙ্গি সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি জামিনে মুক্ত ছিলেন। আশা করি, আমরা খুব শিগগিরই বাকি জঙ্গিদের অবস্থান শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনতে পারবো।
তিনি আরো বলেন, গত নয় বছর ধরেই আনসার আল ইসলামের প্রধান সমন্বয়ক মেজর (বরখাস্ত) সৈয়দ জিয়াউল হকের নাম শোনা যাচ্ছে। কিন্তু তাকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হচ্ছে না। এটি কি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যর্থতা বলে মনে করছেন? এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তাকে ধরা হচ্ছে না এটা ঠিক নয়। সে যে সমস্ত আধুনিক যন্ত্রপাতির ব্যবহার বা তার কৌশলে আড়ালে-আবডালে অবস্থান করছেন। আমাদের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীরা যেসব আধুনিক যন্ত্রপাতি বা কৌশল ব্যবহার করে জঙ্গিরাও সেই জিনিসগুলোকে ধারণ করে। এসব ক্ষেত্রে একটু সময় বেশি লাগে। তবে আমরা তাকে গ্রেপ্তারের জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। কৌশলে প্রতিনিয়তই জঙ্গি মেজর জিয়া তার অবস্থান পরিবর্তন করছেন। আমরা তার অবস্থান শনাক্ত করছি, আবার সে পরিবর্তন করে ফেলছেন। তবে আশা করছি, খুব শিগগিরই থাকে ধরা সম্ভব হবে।