রহমত নিউজ ডেস্ক 24 November, 2022 03:12 PM
জাতীয় সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আহ্বান জানিয়ে লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি-এলডিপির প্রেসিডেন্ট ড. অলি আহমদ বলেছেন, দেশের মানুষের আস্থাভাজন ব্যক্তিদের নিয়ে গঠিত একটি জাতীয় সরকারের কাছে সসম্মানে ক্ষমতা হস্তান্তর করুন। এটাই হবে রাজনৈতিক পরিপক্কতা এবং বুদ্ধিমানের কাজ। মনে রাখতে হবে, দেয়ালে মাথা ঠুকলে দেয়াল ফাটে না, ফাটে মাথা। বর্তমান পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলা করার সক্ষমতা ‘বিনা ভোটে’ নির্বাচিত সরকারের নেই।
আজ (২৪ নভেম্বর) বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর হাতিরঝিল সংলগ্ন এলডিপির কার্যালয়ে ‘বর্তমান রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অস্থির পরিস্থিতিতে করণীয়’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন এলডিপির প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. নেয়ামূল বশির, ড. আওরঙ্গজেব বেলাল, এসএম মোর্শেদ ও খায়রুল কবির পাঠান প্রমুখ।
অলি আহমদ বলেন, এই সরকার জবরদস্তি করে ১৪ বছর ধরে দেশ শাসন করছে। আজ আমরা ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে, যুব সমাজের ভবিষ্যৎ অন্ধকার। ইতোমধ্যে বিভিন্ন জেলায় বিএনপির ৭-৮ জন নেতাকে রাজনৈতিক কারণে হত্যা করা হয়েছে। কয়েকশ নতুন মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। হাজার হাজার বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের হয়রানি করার জন্য আসামি করা হয়েছে। পুলিশের নির্যাতনের কারণে অনেকে নিজ বাড়িতে ঘুমাতে পারে না। দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা নিজেদের স্বার্থ রক্ষায় সরকারের নগ্ন কর্মকাণ্ডে সাহায্য করে যাচ্ছে, সরকার সরাসরি জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। যে বা যারা অতীতে জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিল, তাদের কিন্তু শেষ পরিণতি সুখকর হয়নি। সরকার তাদের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। আপাত দৃষ্টিতে মনে হয়, খুব দ্রুত অর্থনৈতিক ধ্বংস এবং সংঘাতের দিকে জাতি এগিয়ে যাচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, শুধুমাত্র আমদানির জন্য বাংলাদেশকে প্রতি মাসে গড়ে ৭ বিলিয়ন ডলার পরিশোধ করতে হচ্ছে। এছাড়াও ২০২৩-২৪ সাল পর্যন্ত ঋণের কিস্তি নিয়মিত পরিশোধ করতে হবে। অথচ রিজার্ভে এই টাকার কোনো সংস্থান নেই। সরকারি অফিসগুলোতে ঘুষ ব্যতিত কোনো কাজ হয় না। চোরে না শোনে ধর্মের কাহিনী। সর্বোপরি মনুষ্যত্ব বিলুপ্ত হয়ে গেছে। দুর্নীতি এবং টাকা পাচারের কারণে সমাজের অবকাঠামো ভেঙে পড়েছে, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা না থাকার কারণে বর্তমান সংকট সৃষ্টি হয়েছে। রিজার্ভ দ্রুত কমে যাচ্ছে। দেশ-বিদেশের কেউ এই সরকারের ওপর আস্থা রাখতে পারছে না। সুতরাং, কোনো অবস্থাতেই বর্তমান সরকারের পক্ষে এই সংকট থেকে বের হয়ে আসা সম্ভব হবে না।