রহমত ডেস্ক 24 November, 2022 01:26 PM
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বন্ধুপ্রতীম দেশগুলোর সহযোগিতা নিয়ে খুব কম সময়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিমান বাহিনী গড়ে তোলেন। কারণ, মুক্তিযুদ্ধে বিমান বাহিনীর বিশেষ অবদান রয়েছে। ১৯৭১ সালে একটি ডাকোটা বিমান, একটি অটার বিমান, একটি অ্যালোয়েড হেলিকপ্টার ও ৯৭ সদস্য নিয়ে এ বাহিনী যাত্রা শুরু করেছিল। ’
বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) যশোরের বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান বিমানঘাঁটিতে বিমানবাহিনীর শীতকালীন কুচকওয়াচে যোগ দিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, বিমান বাহিনীর গৌরবতম অধ্যায় রয়েছে। জাতির পিতা যখন পাকিস্তানি বন্দিখানা থেকে ফিরে আসেন, এরপর থেকেই তিনি আমাদের স্বাধীনতা সার্বভৈৗমত্বের প্রতীক সশস্ত্র বাহিনী গড়ে তোলেন এবং বিমান বাহিনীকে আধুনিক শক্তিশালী করে তোলেন। ’
তিনি আরও বলেন, আমাদের দুর্ভাগ্য জাতির পিতাকে হত্যার পর বার বার ক্যু হয় ও বিমান বাহিনীর প্রায় ৬০০ সদস্যকে হত্যা করা হয়। ১৯৭১ সালের পর থেকে ৯৬ সাল পর্যন্ত নানা ঘটনা ঘটে। ৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর আমরা বিমান বাহিনীকে নতুন করে এগিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা নেই। মিগ-২৯ কিনে দেওয়ার ব্যবস্থা করে দেই। এছাড়া যুদ্ধ বিমান, সি-১৩ বিমান, পরিবহণ বিমান, এয়ার রার্ডারসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম যোগ করে বিমান বাহিনীকে নতুন করে গড়ে তুলি। ২০০৯ সালে যখন সরকারে আসি তখন বিমান বাহিনীর আধুনিয়াকায়ন ও অপারেশন বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
সরকার প্রধান আরও বলেন, আমরা নারীদের সশস্ত্র বাহিনীতে যোগ দেওয়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছি। শান্তি রক্ষা মিশনে আমাদের বিমান বাহিনী অত্যন্ত চৌকস ভূমিকা পালন করছে। এ জন্য আমরা গর্বিত। দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য জাতির পিতা ১৯৭৪ সালে আমাদের যে প্রতিরক্ষা নীতিমালা প্রণয়ন করে দিয়েছিলেন, সেই নীতিমালার ভিত্তিতে আওয়ামী লীগ সরকার ‘ফোর্সেস গোল্ড-২০৩০’ প্রণয়ন করে তা বাস্তবায়নের কাজ শুরু করেছে। ফলে স্বাধীনতা রক্ষায় যারা কাজ করছেন ও শান্তি রক্ষা মিশনে যারা যায় তারা যেন উচ্চজ্ঞান সম্পন্ন হয় সে লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি।
আমি শুধু এতটুকু বলতে চাই, আমাদের দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে। জাতির পিতা একদিন এই একাডেমিতে বলেছিলেন, ইনশাল্লাহ এমন দিন আসবে যেদিন আমাদের একাডেমির নাম শুধু দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় নয়, সমগ্রে বিশ্বে ছড়িয়ে পড়বে ও সম্মান অর্জন করবে। অন্য দেশ থেকেও আমাদের এখানে ট্রেনিংয়ের জন্য আসছে।
নবীন কর্মকর্তাদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার সবসময় বিমান বাহিনীকে আধুনিকায়নে গুরুত্ব দিয়ে থাকে। সেভাবে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিমান বাহিনী জনগণের পাশে দাঁড়ায় জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, বিমান বাহিনী শুধু অপারেশনাল কাজ নয়, ঝড়, বন্যর সময় জনগণের পাশে দাঁড়ায়। আমরা যুদ্ধ চাই না, শান্তি চাই।