রহমত নিউজ ডেস্ক 23 November, 2022 08:13 AM
শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার এমপি বলেছেন, জাতীয় ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প-এসএমই পণ্য মেলায় বিদেশি বা আমদানিকৃত কোনো পণ্য প্রদর্শন কিংবা বিক্রি করা যাবে না। জাতীয় শিল্পনীতি-২০২২ অনুযায়ী কৃষি, খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ, কৃষি যন্ত্রপাতি, আইসিটি, চামড়া, চামড়াজাত পণ্য, হালকা প্রকৌশল, পাট, পাটজাত, প্লাস্টিক, হস্ত ও কারু শিল্পের সঙ্গে সম্পৃক্ত এসএমই প্রতিষ্ঠানগুলোকে মেলায় অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। শতভাগ দেশীয় পণ্যের এই মেলায় দেশীয় উৎপাদনকারী অথবা সেবামূলক মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের উদ্যোক্তারাই মেলায় পণ্য প্রদর্শন ও বিক্রির সুযোগ পাবেন।
মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁও পর্যটন ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন অধ্যাপক ড. মো. মাসুদুর রহমান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মো. মফিজুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। শিল্প মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতা ও এসএমই ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ২৪ নভেম্বর থেকে ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই মেলা অনুষ্ঠিত হবে। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে উদ্যোক্তাদের জন্য ৩২৫টি প্রতিষ্ঠানের ৩৫০টি স্টলের ব্যবস্থা থাকবে।
শিল্প প্রতিমন্ত্রী বলেন, মেলায় অংশগ্রহণকারী উদ্যোক্তাদের মধ্যে ৬০ শতাংশ নারী এবং ৪০ শতাংশ পুরুষ। মেলায় অংশ নিচ্ছে ফ্যাশন ডিজাইন খাতের সবচেয়ে বেশি ১৩০টি প্রতিষ্ঠান। এছাড়া খাদ্য ও কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ পণ্যের ৪৫টি, হস্ত ও কারু শিল্পের ৩৮টি, চামড়াজাত পণ্য খাতের ৩৬টি, পাটজাত পণ্যের ৩৫টি, আইসিটি পণ্য-সেবার আটটি, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং পণ্যের ছয়টি, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স খাতের তিনটি, প্লাস্টিক পণ্যের ৫টি প্রতিষ্ঠান এবারের মেলায় অংশ নিচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নয়নের মহাসড়কে দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলেছে। বঙ্গবন্ধুকন্যার গতিশীল নেতৃত্বেই সকল বাধা-বিপত্তি উপেক্ষা করে বাঙালি জাতি কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে এগিয়ে যাবে এবং ২০৪১ সালের মধ্যেই গড়ে তুলবে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা। বিগত নয়টি জাতীয় এসএমই পণ্য মেলায় ১ হাজার ৮শ ৮৬ জন উদ্যোক্তা প্রায় ৩৩ কোটি টাকার পণ্য বিক্রি এবং প্রায় ৫৪ কোটি টাকার অর্ডার গ্রহণ করেছিলেন। সার্বিক বিবেচনায় উদ্যোক্তাদের ট্রেড লাইসেন্স প্রদানে হয়রানি বন্ধ করতে হবে এবং ঋণ প্রদান সহজ করতে হবে।