মুফতি রফি উসমানীর ইন্তেকালে চরমোনাই পীরের শোক

বিশ্ববিখ্যাত দ্বীনি বিদ্যাপীঠ দারুল উলুম করাচির মুহতামিম, মুফতিয়ে আযম পাকিস্তান মুফতী রফী উসমানীর ইন্তেকালে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর ও চরমোনাই পীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম। 

আজ (১৯ নভেম্বর) শনিবার এক বিবৃতিতে তারা শোক প্রকাশ করেন। এর আগে, শুক্রবার(১৮ নভেম্বর) স্থানীয় সময় ৯.২৫ মিনিটের দিকে ইন্তেকাল করেন মুফতী রফী উসমানী। তিনি দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স ছিলো ৮৬। মুফতি রাফি উসমানী ১৯৩৬ সালের ২১ জুলাই দেওবন্দে জন্মগ্রহণ করেন।

চরমোনাই পীর বলেন, ইসলামী শিক্ষার প্রসারে মুফতি রফি উসমানির অবদান অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবে। তিনি ছিলেন একজন ধর্মীয় পণ্ডিত, আইনবিদ এবং লেখক। তিনি ফিকাহ, হাদিস এবং তাফসিরে তার জ্ঞানের জন্য স্বীকৃত মুফতি রফি উসমানি উর্দুতে প্রচুর বইয়ের পাশাপাশি আরবি ভাষায়ও উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ রচনা করেছেন। যা বিশ্বমুসলিম উম্মাহর কল্যাণ গুরুত্বপূর্ণ অবদান হয়ে থাকবে। এছাড়াও তিনি বেফাকুল মাদারিস আল-আরাবিয়ার কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য ছিলেন ও এনইডি ইউনিভার্সিটি অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি এবং করাচি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য ছিলেন। মুফতি রফি উসমানী ইন্তেকালে মুসলিম বিশ্বের অপুরণীয় ক্ষতি সাধিত হলো। যা সহজে পুরণ হবার নয়। মহান রব্বুল আলামিন হযরতের সকল নেককাজকে কবুল করুন। মহান আল্লাহর কাছে তার জন্য জান্নাতের সুউচ্চ মর্যাদা কামনা করছি।

এদিকে মুফতি মুহাম্মদ রফি উসমানী ইন্তেকালের সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে বরিশালের চরমোনাই মাদরাসায় মরহুমের মাগফিরাত কামনা করে এক বিশেষ দোয়ার আয়োজন করা হয়। এতে মাদরাসার হাজার হাজার ছাত্র ও শিক্ষক অংশগ্রহণ করেন। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম দোয়া পরিচালনা করেন। এ সময় এক আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়।