রহমত নিউজ ডেস্ক 14 November, 2022 07:20 PM
৯২ ভাগ মুসলমানের বাংলাদেশের আলাদা একটি পরিচয় আছে। ঢাকাকে মসজিদের শহর বলা হয়ে থাকে। এদেশে কুরআন-সুন্নাহ ও মুসলিম ঐতিহ্য, কৃষ্টি, দীর্ঘদিনের লালিত সংস্কৃতির সাথে বর্তমান চাহিদাকে সমন্বয় করে দেশবরেণ্য আলেম ওলামাদের অংশগ্রহণে একটি যুগোপযোগি শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক তৈরি করতে হবে। ধর্মপ্রাণ জনগোষ্ঠির ঈমান-আকীদা, শিক্ষা-সংস্কৃতি সমুন্নত রেখে আধুনিক বিষয়সমূহ অন্তর্ভূক্তি করুন। মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের পৃথক শিক্ষা কারিকুলাম অনুযায়ী সিলেবাস প্রণয়ন করতে হবে। এনসিটিবিকে উপলব্ধি করতে হবে এদেশ বিরানব্বই ভাগ মুসলমানের দেশ, হিন্দুত্ববাদী দেশ নয়। মুসলমানের উপযোগি শিক্ষা সিলেবাস প্রণয়ন করতে হবে। হিন্দুত্ববাদ প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন এদেশে বাস্তবায়ন হতে দেয়া হবে না।
আজ (১৪ নভেম্বর) সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ ইসলামী আইনজীবী পরিষদের সভাপতি এডভোকেট শেখ আতিয়ার রহমান সেক্রেটারী জেনারেল এডভোকেট শওকত আলী হাওলাদার এসব কথা বলেন।
নেতারা বলেন, এসব পাঠ্যপুস্তকে সন্নিবেশিত অধিকাংশ ছবি, চিত্র, শব্দ, বাক্য, তথ্য ও উপাত্ত ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের মর্মাহত এবং শঙ্কিত করে তুলবে। বিজ্ঞান বইয়ে ১১ জন উলঙ্গ নারী-পুরুষের ছবি দিয়ে তাদের লজ্জাস্থানের পরিচয় দেয়া হয়েছে এবং ছেলে-মেয়েদের বিভিন্ন অঙ্গের বর্ণনা দিয়ে ওষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ঈমান হারা করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। মাদরাসা সিলেবাসের ৯টি বইয়ে শতশত মেয়ের বেপর্দা ছবি ছাপানো হয়েছে। হিন্দু মহিলার শাঁখা পরা ছবি রয়েছে। ইংরেজি বইয়ে কুকুর ও নেকড়ে বাঘের ২৪টি ছবি ছাপানো হয়েছে যা ইউরোপীয় সংস্কৃতির অংশ বিশেষ। ইসলামী শিক্ষা ধ্বংসের এসব চক্রান্ত কার স্বার্থে? ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বইয়ে ডারউইনের বিবর্তনবাদ, দেব-দেবীর নগ্ন ও অর্ধনগ্ন ছবি এবং দেবতাদের পরিচয় দেয়া হয়েছে যা আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞানে প্রত্যাখ্যাত। এভাবে ধর্মীয় ও মাদরাসার শিক্ষার বারোটা বাজানোর নীলনকশা বাস্তবায়ন করতে দেয়া হবে না। এধরনের ইসলামবিরোধী শিক্ষা সিলেবাস থেকে সরকারকে সরে আসার আহ্বান জানান। অন্যথায় সারাদেশে তীব্র আন্দোলনের সৃষ্টি হবে।