| |
               

মূল পাতা জাতীয় রোহিঙ্গা বাংলাদেশের জন্য বড় ধরনের বোঝা : প্রধানমন্ত্রী


রোহিঙ্গা বাংলাদেশের জন্য বড় ধরনের বোঝা : প্রধানমন্ত্রী


রহমত নিউজ     10 November, 2022     04:01 PM    


রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে পদক্ষেপ নিতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন-ইইউ’র প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এই যুদ্ধের কারণে গোটা বিশ্বকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যূত বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গা শরণার্থী বাংলাদেশের জন্য একটি বড় ধরনের বোঝা এবং নতুন শিশু জন্ম গ্রহণের সাথে সাথে প্রতিদিন এই সংখ্যা বাড়ছে। বাংলাদেশ এই অভিবাসন বন্ধে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

আজ (১০ নভেম্বর) বৃহস্পতিবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের কমিশন ফর হোম অ্যাফেয়ার্স ইভা জোহানসনের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি এসব কথা বলেন। বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। বৈঠকে রোহিঙ্গা ও জলবায়ু পরিবর্তনসহ অভিবাসন সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে গুরুত্বের সঙ্গে আলোচনা হয়। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাংলাদেশী অভিবাসীদের ভূমধ্যসাগর পাড়ি দেয়ার বিষয়টি নিয়েও আলোচনা হয়। প্রধানমন্ত্রীর অ্যাম্বাসেডর-এট-লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমেদ কায়কাউস ও ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হুটেলি এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশের ব্যাপক উন্নয়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূয়সী প্রশংসা করে ইইউ প্রতিনিধি দলের নেতা ইবা জোহানসন বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে ইইউ বাংলাদেশের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখবে। ইইউ বর্তমানে ৪৫ লাখ ইউক্রেনীয় শরণার্থীকে আশ্রয় দিচ্ছে। ইইউ নেতৃবৃন্দ এবং বৈধ অভিবাসীরা পরস্পরের জন্য সুবিধাজনক পরিস্থিতি সৃষ্টি করে উভয়ের কল্যাণ নিশ্চিত করতে পারে।

ইইউ প্রতিনিধি দল জানতে চায়, বাংলাদেশ কীভাবে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলা করে। জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ নিজস্ব অর্থায়নে বিভিন্ন অভিযোজন ও প্রশমণ কর্মসূচি গ্রহণ করে বিধায়, আমরা যে কোন ধরনের দুর্যোগ মোকাবিলা করতে সক্ষম। ধনী দেশগুলো- যারা বৈশ্বিক উষ্ণায়নের জন্য দায়ী, তারা জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাবে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোকে তাদের প্রতিশ্রুত অর্থ দেয়নি। ধনী দেশগুলো তাদের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেনি।  আগামী বছর বাংলাদেশ ও ইইউ তাদের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন করতে যাচ্ছে।

নারী ক্ষমতায়নের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার নারীর ক্ষমতায়নকে সর্বাগ্রে প্রাধান্য দিচ্ছে। আমরা প্রতিটি খাতে নারী কর্মীদের নিয়োগ দিচ্ছি এবং তারা খুব ভাল কাজ করছেন। সরকার তৃণমূল পর্যায়ে উন্নয়ন নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে। তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত উন্নয়ন নিশ্চিত করা আমাদের প্রধান লক্ষ্য।’