রহমত নিউজ 10 November, 2022 07:45 AM
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ছাড় কেউ কাউকে দেয় না। দাবি আদায় করে নিতে হয়। আর তারা যে বডি ল্যাংগুয়েজে কথা বলছেন, ওটা থাকে না। শেষ পর্যন্ত এই ধরনের ফ্যাসিস্ট সরকারের দেখা যায় যে, তাসের ঘরের মতো সমস্ত পড়ে যায়। ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত এরশাদের একই ধরনের কথাবার্তা ছিল, বডি ল্যাংগুয়েজ ছিল। ৬ তারিখে কিন্তু ধপাস।
বুধবার (৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায় তিনটি সমমনা রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ শেষে সরকারের মন্ত্রী-নেতাদের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে, বিকাল ৪টায় মাইনরিটি জনতা পার্টি, বিকেল সাড়ে ৪টায় বাংলাদেশ ন্যাপ ও বিকাল ৫টায় সাম্যবাদী দলের সঙ্গে সংলাপে বসেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। মাইনোরিটি জনতা পার্টির চেয়ারম্যান সুকৃতি কুমার মণ্ডল, বাংলাদেশ ন্যাপের চেয়ারম্যান এম এন শাওন সাদেকী এবং বাংলাদেশ সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ নুরুল ইসলাম নিজ নিজ দলের ১০ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন। মাইনোরিটি জনতা পার্টির প্রতিনিধিদলে ছিলেন দিলীপ কুমার দাস, মোহাম্মদ আবদুল হাই, কমলেশ কুমার দাস, নিরদ বরণ মজুমদার, অশোক কুমার সরকার, ভবতোষ মুখার্জী সুবীর, শন্তু নাথ দাস, পল্লব চ্যাটার্জী, উজ্জ্বল চন্দ্র দাস, শেখর চন্দ্র সরকার, সুমন কুমার সরকার, কেয়া সেন ও মিঠুর ভট্টচার্য। বাংলাদেশ ন্যাপের প্রতিনিধিরা হলেন, পরেশ চন্দ্র সরকার, আব্দুল বারিক, নুরুজ্জামান, মেহেদি হাসান এবং ওমর ফারুক। সাম্যবাদী দলের অন্য সদস্যরা হলেন, সুরাইফুল ইসলাম মাহফুজ, সাইফ উদ্দিন মাহমুদ, এরশাদ আলী, মেহেবুব মিয়া, আবু তাহের, শামসুল হক, আব্দুল গনি খান, সুমন হাওলাদার ও নুরুদ্দিন ঢালী। অন্যদিকে বিএনপি মহাসচিবের সঙ্গে ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা মুক্ত লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি, নির্বাচন করা দল। বিএনপি সন্ত্রাসের সঙ্গে জড়িত নয়। কখনোই অগ্নি সন্ত্রাস বা সন্ত্রাস করে আমরা ক্ষমতায় যাইনি অতীতে, এখনও যেতে চাই না। বিএনপি নয়, ক্ষমতাসীনরাই অগ্নি সন্ত্রাসের মূল হোতা, চলমান আন্দোলনের যে ধারাবাহিকতা শুরু হয়েছে এবং তার গতি প্রতিদিন বাড়ছে। এতে ভীত হয়ে ক্ষমতাসীনরা আগের সেই বিষয়গুলোকে নিয়ে আসছে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে যেটা সত্য কথা, সেটা হচ্ছে এই যে অগ্নি সন্ত্রাসের মূল হোতা কিন্তু আওয়ামী লীগ নিজেই, সরকার নিজেই।
তিনি আরো বলেন, সে সময়ে যতগুলো ঘটনা ঘটেছে প্রত্যেকটি ঘটনায় দেখা যাচ্ছে, আওয়ামী লীগের লোকেরাই এর (অগ্নি সন্ত্রাস) সঙ্গে জড়িত। বাসের (অগ্নিসংযোগ) ব্যাপারটা নিশ্চয় মনে আছে আপনাদের। বাসের মালিক হচ্ছে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য, স্বেচ্ছাসেবক পার্টির প্রধান এবং চৌদ্দগ্রামে যেটা ঘটেছিল দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে আসামি করে যে মামলাগুলো দেওয়া হয়েছে সব কিছুর মূলে ছাত্রলীগ-যুবলীগ-আওয়ামী লীগের লোকজন জড়িত। এতোগুলো সমাবেশ হয়েছে, প্রত্যেকটায় আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপরে কী রকম অত্যাচার-নির্যাতন হয়েছে। আপনারা নিশ্চয়ই লক্ষ্য করেছেন যে, আমাদের দল থেকে কোনো রকমের কোনো সন্ত্রাস বা উসকানি দেওয়া হয়নি। তারাই উসকানি দিয়ে সন্ত্রাস সৃষ্টি করতে চাচ্ছে। তারা এই চলমান আন্দোলনকে আবার ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে চাচ্ছে।