রহমত নিউজ 06 November, 2022 07:41 PM
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, ১৩ বছর আগে মাত্র পাঁচ মিলিয়ন ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ছিল, যা এখন ১৩০ মিলিয়ন। এই সময়ে আইসিটি খাতে অনেক উন্নতি হয়েছে। ১৩ বছর আগে কোনো আইসিটি ইন্ডাস্ট্রি ছিল না, প্রযুক্তিখাতে রপ্তানি ছিল মাত্র ২৬ মিলিয়ন ডলার। এখন সফটওয়্যার, হার্ডওয়্যার এবং সার্ভিস সেক্টর থেকে সবমিলিয়ে বছরে এক দশমিক চার বিলিয়ন ডলারে এসে দাঁড়িয়েছে। একটি পরিসংখ্যান অনুযায়ী বাংলাদেশ হলো অনলাইন সোর্স অব ওয়ার্কারের তালিকায় দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ। আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশে পরিণত হওয়ার সফলতা অর্জন করেছি এবং সেই সফলতার ভিত্তিতে ২০৪১ সালের মধ্যে এখন আমরা টেকসই, জ্ঞাননির্ভর ও সৃজনশীল ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ে তুলতে চাই।
আজ (৬ নভেম্বর) রবিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল-বিসিসি অডিটরিয়ামে আন্তর্জাতিক কলেজিয়েট প্রোগ্রামিং কনটেস্ট-আইসিপিসির ওয়ার্ল্ড ফাইনালস্ ঢাকা আয়োজনকে ঘিরে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আইসিপিসি ফাউন্ডেশনের সভাপতি ও আইসিপিসি নির্বাহী পরিচালক ড. উইলিয়াম বি. পাউচার, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, আইসিপিসির উপনির্বাহী পরিচালক ও আইসিপিসি ওয়ার্ল্ড ফাইনালস্ কনটেস্টের পরিচালক ড. মাইকেল জে. ডোনাহু, ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিকের উপাচার্য ও আইসিপিসি ওয়ার্ল্ড ফাইনালস্ ঢাকার পরিচালক অধ্যাপক কামরুল আহসান ও বিসিসির নির্বাহী পরিচালক রণজিৎ কুমার।
বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য কম্পিউটার প্রোগ্রামিং সমস্যা সমাধানের সবচেয়ে সম্মানজনক এবং মর্যাদাপূর্ণ আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা আইসিপিসির এবারের হোস্ট কান্ট্রি হচ্ছে বাংলাদেশ। প্রায় প্রতি বছরই তরুণ প্রজন্মের জন্য বিশেষভাবে আয়োজিত হয় এ কনটেস্ট, যার যাত্রা শুরু হয় ১৯৭০ সাল থেকে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের নেতৃত্বে আইসিপিসির ৪৫তম আসরের নির্বাহক এজেন্সি বিসিসি এবং বাংলাদেশের থেকে হোস্ট ইউনিভার্সিটি ‘ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিক (ইউএপি)’। আইসিপিসি ফাউন্ডেশন এবং বিসিসি ও হোস্ট ইউনিভার্সিটি হিসেবে ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিক (ইউএপি) ৪৫তম আইসিপিসি ওয়ার্ল্ড ফাইনালস্ ঢাকার মূল আয়োজক। এরই মধ্যে বাংলাদেশে এ আয়োজন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে সব ধরনের কার্যক্রম সমাপ্ত হয়েছে এবং চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। আগামী ৮ নভেম্বর দুপুরে এ অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করা হবে। প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে আইসিপিসি আয়োজনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোসহ কি কি আয়োজন থাকছে তার বিস্তারিত তুলে ধরা হয় সংবাদ সম্মেলনে।
পলক বলেন, এ আয়োজনটি আইসিটিতে আমাদের সক্ষমতা প্রদর্শনের দারুণ একটি সুযোগ। একই সঙ্গে আমাদের দেশের ভবিষ্যৎ আইসিটি নেতৃত্বদের বর্তমান নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করে দেওয়ারও একটি সুযোগ। আমরা আমাদের সব বন্ধুকে দেশের সৌন্দর্য ও আতিথেয়তার স্বাদ নেওয়ার আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।
সংবাদ সম্মেলনে আইসিপিসি ফাউন্ডেশনের সভাপতি বলেন, আইসিপিসি বিশ্বের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্য একটি অন্যতম বিশেষ আয়োজন। আমাদের লক্ষ্য ভবিষৎ প্রজন্মের জন্য উন্নত বিশ্ব গড়ে তোলা। এ জন্য শ্রেষ্ঠত্বের প্রতিশ্রুতি প্রয়োজন। আমরা সবার জন্য সুযোগ তৈরি করতে চাই। এ জন্য আইসিপিসির মতো অনুষ্ঠানগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশে এ অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হওয়ায় আমি খুবই উচ্ছ্বসিত।