ওসমান হারুনী 04 November, 2022 05:54 PM
জামালপুরের ইসলামপুরে নোয়ারপাড়া ইউনিয়নের কাঠমা গ্রামে যমুনা নদীর ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। এতে আতংকের মধ্যে রয়েছে নদী পাড়ের কয়েকটি গ্রামের শত শত পরিবার গত ১৫দিন ধরে ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। ভাঙনের ফলে ফসলী জমি নদীতে বিলীন হচ্ছে। সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, মসজিদ, মাদরাসা, রাস্তা, ব্রীজ কালভার্ট নদীতে বিলীন হয়েছে। অপরদিকে ভাঙন অব্যাহত থাকায় মেলান্দহ উপজেলার মাহমুদপুর ইউনিয়নের পশ্চিমের এলাকায় মানুষ আতংকের মধ্যে রয়েছে। জানা গেছে, যমুনার নদীর পানি হঠাৎ করে অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধির ফলে কাঠমা গ্রামে ভাঙন দেখা দেয়।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নদী ভাঙন কবলিত এলাকায় বালু সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা বলগেট দিয়ে বালু উত্তোলন করছে। যার ফলে গত ১৫দিন যাবৎ ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। এভাবে ভাঙন অব্যাহত থাকলে কাঠমা গ্রাম একেবারে মুছে যাবে। ভাঙন কবলিত লোকজন তাদের বাড়িঘর অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে নিরাপদে আশ্রয় গ্রহণ করেছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, রাত দিন ২৪ঘন্টা বালু উত্তোলন করার ফলে ঘূর্ণণবর্তার সৃষ্টির ফলে নদী তলদেশ থেকে মাটি সরে যাওয়ায় এলাকায় ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে। এভাবে বালু উত্তোলন অব্যাহত থাকলে আমাদের ভিটামাটি ছেড়ে খোলা আকাশের নিচে পরিবার পরিজন নিয়ে জীবনযাপন করতে হবে। নদী ভাঙন রোধকল্পে স্থায়ীভাবে পাইলিং বাঁধ নির্মানে দাবী জানান গ্রামবাসী।
নোয়ারপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার রোমান হাসান বলেন, হঠাৎ করে নদীর পানি বৃদ্ধি হওয়া ভাঙন সৃষ্টি শুরু হয়েছে। দ্রুত নদী ভাঙ্গনে মানুষ গুলো রক্ষা পেতে প্রশাসনের সদয় হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
জামালপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী জানান, ভাঙন রোধে গত ৬আগষ্ট ৩৩০মিটার বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ডাম্পিং করা হয়েছে। পরবর্তীতে ভাঙনের খবর শুনে গত ৩১অক্টোবর ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মু. তানভীর হাসান রুমান জানান, নদী থেকে বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে তিনি খোজঁ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।