| |
               

মূল পাতা ইসলাম মক্তব শিক্ষা আবারো চালু করতে হবে


মক্তব শিক্ষা আবারো চালু করতে হবে


রহমত নিউজ     04 November, 2022     01:49 PM    


দেশের তরুণ প্রজন্ম যেন পথভ্রষ্ট না হয়, সেজন্য তাদের কাছে ধর্মীয় বার্তা পৌঁছে দিতে হবে। সমাজকল্যাণমূলক কাজ আরো বৃদ্ধি করতে হবে। মক্তব শিক্ষা আবারো চালু করতে হবে। মসজিদকে ইসলামের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কাজের কেন্দ্র বানাতে হবে।

বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে ইসলামি দাওয়াহ ইনিস্টিটিউট আয়োজিত ‘রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের দাওয়াতের কৌশল: প্রেক্ষিত বাংলাদেশ’ শীর্ষক জাতীয় সেমিনারে বক্তরা এসব কথা বলেন। সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার বিচারপতি মুহাম্মদ আব্দুর রউফ।

তামিরুল মিল্লাত কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ ড. মুহাম্মদ আবু ইউসুফ খানের সভাপতিত্বে সেমিনারে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি’র সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আব্দুর রব, ইসলামি দাওয়াহ ইনস্টিটিউটের সেক্রেটারি মুহাদ্দিস মাহমুদুল হাসান, যশোর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সাবেক অধ্যক্ষ প্রকৌশলী সৈয়দ আব্দুল আজিজ, কর্নেল (অব.) ফারুক হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. আতাউর রহমান, তামিরুল মিল্লাত কামিল মাদরাসার ফকিহ মুফতি মাওলানা মহিউদ্দিন, ডিনামাইট অ্যান্ড কোল মাইনিং বড় পুকুরিয়ার সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. কামরুজ্জামান প্রমুখ।  সেমিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কুষ্টিয়ার দাওয়াহ অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আবুল কালাম পাটওয়ারী।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিচারপতি মুহাম্মদ আব্দুর রউফ বলেন, ‘কোরআন ও হাদিস দিয়ে সহজ-সরলভাবে ইসলামের দাওয়াত সবার সামনে উপস্থাপন করতে হবে। রাসুলের আদর্শের প্রতিচ্ছবি নিজেদের কাজে ও কর্মে ফুটিয়ে ফুলতে হবে। একজন ঈমানদার ও মুসলিম হিসেবে ইসলাম আদর্শকে সবার কাছে পৌঁছে দেওয়া আমাদের দায়িত্ব। আল্লাহ তা'আলা আমাদেরকে দাওয়াতে দ্বীনের এই মহান দায়িত্ব পালনে সাহায্য করুন।’

অধ্যাপক ড. আব্দুর রব বলেন, ‘আমাদের দেশের তরুণ প্রজন্মের কাছে দাওয়াত দিতে হবে। কারণ, তরুণরা আজ পথভ্রষ্ট হচ্ছে। তাদের জ্ঞানের পরিধি বাড়াতে ইসলামি অলিম্পিয়াড করতে হবে। মা-বোনদের মাঝে দাওয়াত দিতে হবে। সমাজকল্যাণমূলক কাজ আরও বৃদ্ধি করতে হবে। মক্তব শিক্ষা আবারও চালু করতে হবে। মসজিদকে ইসলামের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কাজের কেন্দ্র বানাতে হবে।’

অধ্যাপক ড. আবুল কালাম পাটওয়ারী তার প্রবন্ধে বলেন, ‘রাসুল রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ছিলেন শ্রেষ্ঠ দাঈ-ইলাল্লাহ বা আল্লাহর প্রতি আহবান কারী। তিনি মানুষকে আল্লাহর একত্ববাদ ও কল্যাণের দিকে আহ্বান করতেন। সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজের নিষেধ করতেন। আমাদেরকেও ঈমান ও নৈতিক চরিত্রের বলে বলীয়ান হয়ে দাওয়াতে দ্বীনের কাজ আঞ্জাম দিতে হবে।’

সভাপতির বক্তব্যে আবু ইউসুফ খান বলেন, ‘ইসলামের আদর্শের জন্য কোনও আপস নয়। আমাদের দাওয়াত হিকমতের সঙ্গে করতে হবে। দাওয়াতের জ্ঞান অর্জন করতে হবে। রাসুল সা. আদর্শ অনুসরণ করে প্রত্যেক মুসলিমকে দায়ী হিসেবে গড়ে তুলে সব মানুষের মধ্যে দাওয়াতি কাজ করতে হবে।

প্রকৌশলী সৈয়দ আব্দুল আজিজ বলেন, ‘যে সমাজে আমরা বসবাস করি, সেই সমাজে এক কোটির বেশি অমুসলিম আছে। তাদেরকে দাওয়াত দেওয়া দরকার এবং দাওয়াতের কৌশল নির্ধারণ করার দরকার।’