| |
               

মূল পাতা জাতীয় অর্থনীতি চালে পালিশ দিলে পুষ্টি চলে যায়: খাদ্যমন্ত্রী


চালে পালিশ দিলে পুষ্টি চলে যায়: খাদ্যমন্ত্রী


রহমত ডেস্ক     03 November, 2022     03:56 PM    


চালে পালিশ দিলে পুষ্টি চলে যায় বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। তিনি বলেন, ‘চালকলে পাঁচ ধরণের পালিশ দেওয়া হয়। মোম পালিশ, স্যালাইন পালিশ, সিল্কি পালিশ এমন নামের। তাতে একদিকে পুষ্টি চলে যায়। অন্যদিকে চালের ঘাটতি হয়। ’

বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) ঢাকার হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে 'বাংলাদেশে ফোর্টিফাইড চালের বাণিজ্যিক যাত্রা' শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ তথ্য জানান।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘মানুষ পুষ্টিহীন সিল্কি চাল খেতে পছন্দ করছে। এর ফলে মানুষের মধ্যে পুষ্টিহীনতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। চকচকে চাল না খেতে সচেতনতা বাড়াতে হবে। চকচকে চালকে না বলতে হবে। চাল হয়ে যায় পুষ্টিহীন। ’

‘চাল চকচকে করতে গিয়ে বছরে প্রায় ১৬ থেকে ১৭ লাখ মেট্রিক টন ঘাটতি হয়। পাশাপাশি বিদুৎ, দামি দামি পালিশ মেশিনের খরচ, ম্যানপাওয়ার অন্যান্য মিলে কেজিপ্রতি ৩-৪ টাকা বাড়তি খরচ হয়। সেই খরচ ধরেই চকচকে পালিশ চালের দাম নির্ধারণ করে মিল মালিকরা। সেটা গুনতে হচ্ছে ভোক্তাকে, যোগ করেন তিনি।

সাধন চন্দ্র মজুমদারআরও বলেন, ‘পুষ্টিচাল যেন সাধারণ মানুষ বাজার থেকে ক্রয় করতে পারে সেজন্য পুষ্টিচাল উৎপাদন ও বাজারজাত করার জন্য বেসরকারিভাবে ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান ও চালকল মালিকদের উদ্যোগী হওয়া প্রয়োজন। তাদের উদ্যোগ ও বিনিয়োগ ছাড়া পুষ্টিচাল ভোক্তা পর্যায়ে সহজলভ্য করা সম্ভব হবে না। ’

এ সময় তিনি বেসরকারি চাল ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান ও চালকল মালিকদের পুষ্টিচাল উৎপাদন ও বাজারজাতকরণে উদ্যোগী হওয়ার এবং দাম ভোক্তার নাগালের মধ্যে রাখার আহ্বান জানান।