রহমত নিউজ 01 November, 2022 08:02 PM
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো-বিবিএসের সঙ্গে বৈঠক করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল-আইএমএফ।
বৈঠকে আইএমএফ বিবিএসকে বলেছে, তিন মাস পরপর মোট দেশজ উৎপাদন-জিডিপির তথ্য দিতে হবে। এজন্য বিবিএস কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণও দিচ্ছে আইএমএফ।
আজ (১ নভেম্বর) মঙ্গলবার বাংলাদেশে আইএমএফ মিশন প্রধান রাহুল আনন্দ’র নেতৃত্বে একটি দল বিবিএস মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মো. মতিয়ার রহমানের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। বৈঠকে এসব প্রস্তাব তুলে ধরেছে আইএমএফ।
বিবিএস জানায়, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল-আইএমএফের নির্দেশিকা মানতে গিয়ে ত্রৈমাসিক তথ্য দেওয়ার কাজ শুরু করবে বিবিএস। এখন জিডিপি প্রবৃদ্ধি পরিমাপ করা হয় ২০০৫-০৬ অর্থবছরকে ভিত্তি ধরে। এটি পরিবর্তন করে ২০১৫-১৬ অর্থবছর করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল ২০১৭ সালে। কিন্তু গত ৫ বছরেও ভিত্তি বছর পরিবর্তন করতে পারেনি সংস্থাটি। কয়েক বছরে জিডিপির ভিত্তি বছর পরিবর্তন করতে না পারলেও এখন ত্রৈমাসিক তথ্য দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। কারণ আইএমএফের প্রতিনিধি দলও প্রবৃদ্ধির হিসাব ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে দিতে বলেছে। বর্তমানে বিবিএস বছরে দুইবার জিডিপি প্রবৃদ্ধির তথ্য দেয়। বছর শেষে একটা সাময়িক এবং পরবর্তীতে পূর্ণাঙ্গ তথ্য দেয়। তবে এই পদ্ধতি বাতিল করে প্রবৃদ্ধি বছরে তিনবার প্রকাশ করার পরামর্শ দিয়েছে আইএমএফ। যাতে করে দেশের আর্থিক অবস্থার অগ্রগতি সবসময় জানা যায়। সরকার দেরিতে আগস্ট মাসের মূল্যস্ফীতির তথ্য প্রকাশ করেছে। মূল্যস্ফীতি বেশি হওয়ায় তথ্য প্রকাশে দেরি হয়েছে কিনা জানতে চেয়েছে আইএমএফ। এই বিষয়ে তাদের বিস্তারিত জানিয়েছেন বিবিএস মহাপরিচালক।
বিবিএস মহাপরিচালক বলেন, এটা তেমন কোন বৈঠক নয়, রুটিন মাফিক বলা যায়। আইএমএফ কোয়ার্টারলি জিডিপি প্রবৃদ্ধির বিষয়ে জানতে চেয়েছে। আমরাও এই বিষয়ে কাজ করছি। তবে এটা বললেই হবে না। আমরা যাদের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে প্রবৃদ্ধি প্রকাশ করব তাদেরও সেই প্রস্তুতি থাকা লাগবে। সবাইকে এই বিষয়ে আমরা প্রস্তুত করছি। আইএমএফ প্রতিনিধি আমাদের সঙ্গে কাজ করছে। আমরাও সভা সেমিনার করছি কীভাবে এটা করা যায়। তবে কবে থেকে কোয়ার্টারলি প্রকাশ করতে পারব তা এখন বলা যাবে না। দক্ষিণ এশিয়ায় সবাই এটা করছে আমাদেরও এটা করতে হবে। তারা কোনো সুপারিশ বা পরামর্শ দেয়নি। তবে আগস্ট মাসে মূল্যস্ফীতির তথ্য দিতে দেরি হয়েছে কেন এটার কারণ জানতে চেয়েছে। আমরা বলেছি এই বিষয়ে। তথ্য প্রকাশ করতে আমাদের উপর পর্যায় থেকে অনুমতি নেওয়ার কারণেই মূলত দেরি হয়েছে। এছাড়া অন্য কোনো কারণ নেই বলে তাদের জানিয়েছি।