| |
               

মূল পাতা সারাদেশ রাজধানী আমরণ অনশনের ঘোষণা নন-ক্যাডার প্রার্থীদের


আমরণ অনশনের ঘোষণা নন-ক্যাডার প্রার্থীদের


রহমত নিউজ     31 October, 2022     03:01 PM    


৪০তম বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ নন-ক্যাডার তালিকায় অপেক্ষমাণ প্রার্থীদের ৬ দফা দাবি না মানা হলে আমরণ অনশনের ঘোষণা দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। ৬ দফা দাবি হলো— যেহেতু বিজ্ঞপ্তিতে ৪০-৪৩তম বিসিএস পর্যন্ত নন-ক্যাডার পদের সংখ্যা উল্লেখ করা হয়নি, সেহেতু বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন কর্তৃক বিজ্ঞপ্তির পর ৪০-৪৪তম বিসিএস পর্যন্ত বিজ্ঞপ্তির তারিখওয়ারী নন-ক্যাডার পদ বিভাজনের মাধ্যমে পদসংখ্যা নির্ধারণের এই বেকারবিরুদ্ধ ও অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে।

আজ (৩১ অক্টোবর) সোমবার সকাল ১০টা থেকে পিএসসির গেটে অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে তারা এ ঘোষণা দেন। এর আগে রবিবার (৩০ অক্টোবর) দুপুর ২টা থেকে অবরোধে অংশ নেন নন-ক্যাডার তালিকার অপেক্ষমাণ প্রার্থীরা৷ আন্দোলন চলাকালে বিকেল ৪টার পর পিএসসির গেটগুলোতে অবস্থান নেওয়া প্রার্থীদের পুলিশ সরিয়ে দেয়। পরে সন্ধ্যায় চাকরিপ্রার্থীরা মোমবাতি প্রজ্বলন করে প্রতিবাদ জানান।

তারা বলেন, আমাদের লাগাতার অবস্থান কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ সকাল ১০টায় পিএসসির গেটে অবস্থান করলে পুলিশি বাধার সম্মুখীন হতে হয়৷ মাইক ব্যবহার করতেও পুলিশি নিষেধাজ্ঞা আসে। বাধ্য হয়েই আমরা গেটের পাশে অবস্থান নিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি। তবে এখন পর্যন্ত পিএসসির কোনো দায়িত্বশীল কর্মকর্তা আমাদের সঙ্গে কথা বলেননি। আমরা আরও দুই দিন লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করব। এরপরও আমাদের দাবি না মানা হলে আমরা আমরণ অনশনে যাব।

বিজ্ঞপ্তির তারিখওয়ারী পদ বিভাজনের যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, সেখানে ৪০তম বিসিএস নন-ক্যাডারের পদ ৩৬, ৩৭ ও ৩৮তম বিসিএসকে প্রদান করা হয়েছে। সুতরাং তারিখওয়ারী পদ বিভাজনের এই সিদ্ধান্ত অবিলম্বে বাতিল করতে হবে। করোনা মহামারিতে ক্ষতিগ্রস্ত ইতিহাসের দীর্ঘকালীন ৪০তম বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ নন-ক্যাডার অপেক্ষমাণ তালিকায় থাকা প্রার্থীদের থেকে সর্বোচ্চ সংখ্যক প্রার্থীকে নন-ক্যাডারে সুপারিশ করাতে হবে। যে প্রক্রিয়া অনুসরণ করে পিএসসি ২৯ মার্চ ২০২২ তারিখ পর্যন্ত ৩৪-৩৮তম বিসিএস নন-ক্যাডার তালিকা প্রকাশ করেছে সেই প্রক্রিয়া অনুসরণ করে বর্তমান উদ্বুদ্ধ সমস্যার সমাধান করতে হবে।

বাংলাদেশের শিক্ষিত ও মেধাবী ছাত্রসমাজকে পিএসসির মূল বক্তব্য আড়াল করে অর্থাৎ ‘যার যা প্রাপ্য তাকে তাই দেওয়া হবে’ এই ভিত্তিহীন কথা বলে যে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে তার সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা দিতে হবে এবং বেকার সৃষ্টির এই অপপ্রয়াস অনতিবিলম্বে বন্ধ করে বেকারবান্ধব নীতি নবায়ন করতে হবে। বিগত এক যুগে পিএসসি যে স্বপ্ন, নির্ভরযোগ্য ও বেকারবান্ধব প্রতিষ্ঠান ছিল সেই ধারা অব্যাহত রাখতে হবে।


এই এলাকার অন্যান্য সংবাদ দেখতে ক্লিক করুন: ঢাকা ঢাকা