| |
               

মূল পাতা জাতীয় ‘ইতোমধ্যে সব ক্ষেত্রেই স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে বাংলাদেশ’


‘ইতোমধ্যে সব ক্ষেত্রেই স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে বাংলাদেশ’


রহমত নিউজ     30 October, 2022     06:11 PM    


পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বলেছেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরেই ইতোমধ্যে সব ক্ষেত্রেই স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে বাংলাদেশ। সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে তিনি রাতদিন নিরলসভাবে কাজ করছেন। তার অসীম দেশপ্রেম, সাহসিকা ও দৃঢ় মনোবলের ফলে বাংলাদেশ ডেল্টা প্ল্যান-২১০০ বাস্তবায়নের রূপরেখা প্রণয়ন করা হয়েছে। এই মহাপরিকল্পনার অধীনে ২০৩০ সালের মধ্যে বাস্তবায়নের জন্য ৮০টি প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। এসব প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে উন্নয়নের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে। উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে গঠিত ডেল্টা প্ল্যানের আওতায় বন্যা, নদীভাঙন, নদী ব্যবস্থাপনা, নগর ও গ্রামে পানি সরবরাহ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও নিষ্কাশন ব্যবস্থাপনার দীর্ঘমেয়াদি কৌশলই হলো ‘বদ্বীপ পরিকল্পনা-২১০০’।

আজ (৩০ অক্টোবর) রবিবার রাজধানীর একটি হোটেলে এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ার, বিশ্ব ব্যাংক দক্ষিণ এশিয়ার প্রতিনিধি রুমী, অতিরিক্ত সচিব এস এম রেজাউল মোস্তফা কামাল, আর্থ ও পরিপল্পনা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক ফজলুর রশিদ।

পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ড ডেল্টা প্ল্যান-২১০০ এর বেশিরভাগ পরিকল্পনার নেতৃত্ব দেবে। এ মহান দায়িত্ব পেয়ে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় গর্বিত। অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় ৪৬টি পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রাম রয়েছে, যার মধ্যে মন্ত্রণালয় এককভাবে ৩৩টি পিআইপি বাস্তবায়ন করছে। বর্তমানে আমাদের ডেল্টা প্ল্যানের ২৬টি পিআইপির অধীনে ৫৭টি চলমান উন্নয়ন প্রকল্প রয়েছে। বদ্বীপ পরিকল্পনা-২১০০ অধীন গত ৪ বছরে পানি উন্নয়ন বোর্ড ৩০৯ কিলোমিটার নদীর তীর রক্ষা বাঁধ, ৩৯৪ কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণ, ৫ হাজার ৪৩৫ কিলোমিটার বাঁধ পুনর্গঠন, ৬১২টি হাইড্রোলজিক্যাল স্ট্রাকচার নির্মাণ এবং ১ হাজার ১৫২ কিলোমিটার সেচ খালের ড্রেজিং, পুনঃখনন ও সংস্কারের কাজ করা হয়েছে। এর বাইরে ২ হাজার ৫০০ কিলোমিটার ছোট নদী, খাল, জলাভূমি পুনঃখনন করা হয়েছে। ড্রেনেজ, সেচ, ভূগর্ভস্থ জল রিসার্স এবং স্থানীয় জনগণের জীবনযাত্রার উন্নতির জন্য কাজ করছে।

তিনি বলেন, ডেল্টা প্ল্যান-২১০০ বাস্তবায়নের প্রক্রিয়ায়, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় শুধুমাত্র অবকাঠামোগত উন্নয়নের দিকে নয়, বরং নীতি ও প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারের দিকেও মনোযোগ দিচ্ছে। আমাদের সংস্কার উদ্যোগের মধ্যে রয়েছে- পানি উন্নয়ন বোর্ডে ডেল্টা সেল স্থাপন; বর্তমানে মন্ত্রণালয়ে বদ্বীপ শাখা স্থাপনের কাজ চলছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডে টাস্কফোর্স গাইড লাইন-২১০০। তথ্যপ্রযুক্তি নীতি এবং বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়তা করার জন্য জলের জন্য অপারেশনাল শ্যাডো বিকাশ করা। ড্রেজিং এবং ড্রেজড ম্যাটেরিয়াল ম্যানেজমেন্ট, শিল্প জল ব্যবহার নীতি। জল সম্পদ জ্ঞান পুনঃস্থাপন প্রতিষ্ঠা, ডেল্টা প্ল্যান নলেজ এজেন্ডা বাস্তবায়ন। পরিবেশগত প্রবাহের জন্য নির্দেশিকা, অংশগ্রহণ জল ব্যবস্থাপনার জন্য আপসেটিং নির্দেশিকা, ভূগর্ভস্থ পানির টেকসই নীতি নিয়ে কাজ করছে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়।

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদীর পলিগঠিত ব-দ্বীপ। দক্ষিণাঞ্চলের বিশাল এলাকা নিম্নভূমি। খরা, ঘূর্ণিঝড়, নদীভাঙনের হুমকি মোকাবিলা করতে হয় এখানকার মানুষকে। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ২০৫০ সালে এ দেশের প্রায় ১৪ শতাংশ এলাকা সমুদ্রে তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এতে প্রায় ৩ কোটি লোক জলবায়ু শরণার্থীতে পরিণত হবে। ডেল্টা প্ল্যানে বন্যার ঝুঁকি কমানোর পাশাপাশি অর্থনৈতিক অঞ্চল ও শহর রক্ষা; নতুনভাবে জেগে ওঠা চর এলাকায় নদী ও মোহনা ব্যবস্থাপনা জোরদার করা; উপকূলীয় অঞ্চলে জেগে ওঠা নতুন জমি উদ্ধার এবং সুন্দরবন সংরক্ষণ করার উদ্যোগ নিয়েছে। আর এসব উদ্যোগের মধ্য দিয়েই পলিগঠিত এই বৃহত্তম ব-দ্বীপের মোহনায় জেগে উঠবে নতুন চর আয়তন বাড়বে বাংলাদেশের। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগের কারণেই এই মহাপরিকল্পনা এখন স্বপ্ন থেকে বাস্তবে পরিণত হয়েছে।