রহমত নিউজ 28 October, 2022 06:04 PM
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ বলেছেন, আমার কাজ কর্মীদের বিদেশ পাঠানো। এখন আর অ্যানালগ পদ্ধতিতে পাঠানো যাবে না, ডিজিটাল পদ্ধতিতে পাঠাতে হবে। যখনই আমরা পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপের কথা বলি, সেটাকে অংশীদারত্বই হতে হয়। সরকার সুযোগ দেয়, কারণ তার সেবাটি প্রয়োজন। বিএমইটির একার পক্ষে এটা করা সম্ভব নয়। সেটি করেও থেমে থাকা যাবে না। আর এভাবেই সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। আমরা সব সময় একজোট হয়ে কাজ করি। এরইমধ্যে অংশীদারত্বের ফলাফলও পাওয়া যাচ্ছে। যার এটি উদাহরণ হলো বিএমইটি ডাটাবেজ।
রাজধানীর ওয়েস্টিন হোটেলে জনশক্তি ও কর্মসংস্থান ব্যুরো-বিএমইটি আয়োজিত ডিজিটাল পদ্ধতিতে ইমিগ্রেশন ক্লিয়ারেন্স প্রক্রিয়ার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, আমরা একটি স্মার্ট সার্ভিস আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করতে যাচ্ছি। এরইমধ্যে ‘আমি প্রবাসী’ অ্যাপটি কার্যকর হয়েছে। বিএমইটির ডিজিটাল পরিষেবাগুলো পেতে এখন পর্যন্ত ‘আমি প্রবাসী’ অ্যাপে প্রায় ২০ লাখ মানুষ নিবন্ধন করেছে। ব্যাপারটি ভীষণ গর্বের। এমন স্মার্ট একটি প্রকল্প নিয়ে কাজ করায় তিনি প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়কে ধন্যবাদ জানান।২০১৩ সালে সরকার প্রথম বিএমইটির জন্য ডাটাবেজ তৈরির সিদ্ধান্ত নিলেও তা মূলত আলোর মুখ দেখেছে ‘আমি প্রবাসী’ যুক্ত হওয়ার পর। সবচেয়ে বড় ব্যাপার হচ্ছে, অ্যাপটি তৈরিতে সার্ভিস চার্জ ভিত্তিক মডেল অনুসরণ করায় এতে সরকারের কোনো ধরনের ব্যয় হয়নি।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. আহমেদ মুনিরুস সালেহীন। তিনি মন্ত্রণালয়ের কাজে প্রতিনিয়ত স্বচ্ছতা বৃদ্ধি এবং অভিবাসী কর্মীদের জন্য বন্ধুত্বপূর্ণ সেবা প্রদানের জন্য ক্রমাগত প্রচেষ্টার কথা উল্লেখ করেন। এতে স্বাগত বক্তব্যে পর্যায়ক্রমে বিএমইটর সব পরিষেবা ডিজিটাল করবার পরিকল্পনা জানিয়ে বিএমইটির মহাপরিচালক মো. শহীদুল আলম, এনডিসি বলেন, (ডিজিটালাইজেশনের ফলে) সেবা সহজ হচ্ছে, খরচ কমছে, ভিজিট কমছে এবং সহজেই যাচাইযোগ্য হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন- আমি প্রবাসী লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তারিক ই হক, ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ এবং বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সিস (বায়রা) নবনির্বাচিত সভাপতি মোহাম্মাদ আবুল বাশার। এসময় বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত এসসা ইউসেফ এসসা আল দুহাইলান, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধি, রিক্রুটিং এজেন্সিসমূহের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
বিদেশগামী কর্মীদের সর্বশেষ ধাপ, জনশক্তি ও কর্মসংস্থান ব্যুরো (বিএমইটি) কর্তৃক প্রদত্ত বহির্গমন ছাড়পত্র বা ইমিগ্রেশন ক্লিয়ারেন্স এখন ডিজিটাল পদ্ধতিতেই করা সম্ভব হবে। এখন একজন বিদেশগামী কর্মী স্বল্প সময়ে, কম অর্থ ব্যয়ে এবং কোনো ধরনের ভোগান্তি ছাড়া অনলাইনেই ক্লিয়ারেন্সের জন্য আবেদন এবং বিএমইটি স্মার্ট কার্ড গ্রহণ করতে পারবেন। সম্পূর্ণ ডিজিটাল প্রক্রিয়াটি প্রস্তুত করেছে বিএমইটির ডিজিটাল সার্ভিস প্রোভাইডার আমি প্রবাসী লিমিটেড। ক্লিয়ারেন্স স্মার্ট কার্ড এখন সত্যিকার অর্থেই ‘স্মার্ট’। কিউআর কোড ভিত্তিক এই কার্ডটি খুব সহজে চাইলে যে কেউ পৃথিবীর যেকোন প্রান্ত থেকে যাচাই করতে পারবেন। এরইমধ্যে ‘আমি প্রবাসী’ অ্যাপের মাধ্যমে বিএমইটি ডাটাবেজে নিবন্ধন, ট্রেনিং কোর্সে আবেদন, ট্রেনিং ও প্রি-ডিপার্চার ওরিয়েন্টেশন (পিডিও) সেশন বুকিং, ট্রেনিং ও পিডিও সার্টিফিকেট ডিজিটালাইজেশনে ভূমিকা রেখেছে।