রহমত নিউজ 27 October, 2022 02:10 PM
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, একজন অসুস্থ মানুষ অর্থনীতিতে অবদান রাখতে পারে না। মিলিয়ন ইস্যু আছে উন্নতির বাধা হিসেবে। এরমধ্যে তামাক একটি বড় কালপ্রিট। এটা বিবেচনা না করার কোনো কারণ নেই। তামাক ও ধূমপান কোনোটাই স্বাস্থ্যকর নয়, এটা পুরো পৃথিবীর মানুষ জানে। ধূমপান বন্ধে সিঙ্গেল সিগারেট বিক্রি বন্ধ করা অতি জরুরি বলেও নিজের মত তুলে ধরেন মন্ত্রী।
আজ (২৭ অক্টোবর) বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হোটেলে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন আয়োজিত ‘২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের জন্য প্রণীত খসড়া দ্রুত আইনে পরিণত করতে করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের পরিচালক (হেলথ ও ওয়াশ সেক্টর) ইকবাল মাসুদের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন, সংসদ সদস্য ডা. আ.ফ.ম রুহুল হক, সংসদ সদস্য ড. শ্রী বীরেন শিকদার, মানসের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ডা. অরুপ রতন চৌধুরী, সিটিএফকের লিড পলিসি এডভাইজার মো. মোস্তাফিজুর রহমান, জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেলের সমন্বয়কারী হোসেন আলী প্রমুখ। সভায় মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের উপ-পরিচালক (হেলথ সেক্টর) মোখলেছুর রহমান।
তাজুল ইসলাম বলেন, তামাক নিয়ন্ত্রণের জন্য যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, সেটি সভ্য দুনিয়ার সকল মানুষের কাছে অপরিহার্য। স্বাস্থ্য সবচেয়ে মৌলিক ও জরুরি। অসুস্থ মানুষ দিয়ে হিউম্যান ইনডেক্স বৃদ্ধি করা সম্ভব না। এসডিজি গোলের নেতৃত্ব দিচ্ছে জাতিসংঘ। কিন্তু একটা বিলও জাতিসংঘে পাস হয়নি। এটা না হওয়ার জন্য গ্লোবাল লিডাররা দায়ী। এটা নিয়ে সোচ্চার হওয়ার জন্য সিভিল সোসাইটিকে আগে উদ্যোগ নিতে হবে। এটার জন্য শুধু সংসদে আইন পাস হতে হবে কেন, এটার জন্য জাতিসংঘের লিডারদেরও কাজ করা উচিৎ। পৃথিবীতে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন আইন প্রণীত হয় এবং হয়েছে। এটা সারা জীবনের জন্য হবে বিষয়টা এমন না। সময়ের ব্যবধানে এটা পরিবর্তন হতে পারে। আমার চিন্তা-চেতনা চাহিদার যেমন পরিবর্তন ঘটে, তেমনি আইনের পরিবর্তনের প্রয়োজন হতে পারে। আইন পরিবর্তনের জন্য বাংলাদেশ সংসদের সব সংসদ সদস্য সচেতন আছে। আইন পাস করতে কোনো অসুবিধা হবে বলে আমি মনে করি না।