রহমত নিউজ 23 October, 2022 06:34 PM
বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ফজলে হোসেন বাদশা এমপি বলেছেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা আমাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছেন তারা মৌলবাদীর একাংশ। বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো ছাত্র আমাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করতে পারেন না। কারণ আমি সেখানকার ভিপি ছিলাম। বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস লিখতে গেলে আমার নামও লিখতে হবে।
আজ (২৩ অক্টোবর) রবিবার বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে বুধবার (১৯ অক্টোবর) রাত ৮টার দিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়-রাবির হবিবুর রহমান হলের তৃতীয় তলার বারান্দা থেকে পড়ে শাহরিয়ার নামের এক শিক্ষার্থী আহত হন। পরে রামেক হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। তবে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ৪০ মিনিট বিলম্বে এসে গুরুতর আহত রাবি শিক্ষার্থীকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে রামেক হাসপাতালের ওয়ার্ড ও পরিচালকের কক্ষের সামনের অংশে ভাঙচুর করেন তারা। এসময় হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসকরাও শিক্ষার্থীদের ওপর চড়াও হন। এক পর্যায়ে কর্মবিরতি ঘোষণা করেন রামেকে কর্মরত ইন্টার্ন চিকিৎসকরা।
আরো পড়ুন : রাবিতে এমপি বাদশাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে কুশপুতুল দাহ
বাদশা বলেন, রামেক হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকদের হুমকি দিয়ে শাহরিয়ারের মরদেহ ছিনিয়ে নিয়ে গেছেন পোস্টমর্টেম ছাড়াই। পোস্টমর্টেম না করে লাশ নিয়ে পালিয়ে গেলেন কেন? তাহলে বলতে পারি, হত্যা করে আপনারা এনেছিলেন, আর না হয় পরিবারকে হুমকি দিয়ে আপনারা পোস্টমর্টেম (ময়নাতদন্ত) ছাড়াই ডেড বডি নিয়ে গেছেন। আমরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে দাবি করছি, এর সুষ্ঠু তদন্তে বিশেষ কমিটি গঠন করে গোয়েন্দা বিভাগকে দায়িত্ব দেওয়া, দুষ্কৃতকারীদের গ্রেফতার ও তাদের হামলায় ইন্টার্ন চিকিৎসকদের যারা আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে তাদের বিচারের জন্য তদন্ত করা হোক। ঘটনার ১০ দিন পর হলেও ডেড বডির ময়নাতদন্ত করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে এর আগে শিক্ষক শিক্ষার্থীরা বিভিন্নভাবে হত্যার শিকার হয়েছে। শাহরিয়ারের মৃত্যু সেই ধারাবাহিকতায় কি না সে বিষয়ে নজর দিতে প্রশাসনকে অনুরোধ করছি।
এই এলাকার অন্যান্য সংবাদ দেখতে ক্লিক করুন: রাজশাহী