| |
               

মূল পাতা রাজনীতি অন্যান্য দেশে গণতন্ত্রের নামে একনায়কতন্ত্র চলছে  : জিএম কাদের


দেশে গণতন্ত্রের নামে একনায়কতন্ত্র চলছে  : জিএম কাদের


রহমত নিউজ     23 October, 2022     05:17 PM    


জাতিসংঘের খাদ্য বিষয়ক একটি প্রতিষ্ঠানের উদ্বৃতি দিয়ে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান জিএম কাদেরএমপি বলেছেন, বিশ্বের ৪৫টি দেশে খাদ্য সংকট হবে। এর মধ্যে এশিয়ার নয়টি আর দক্ষিণ এশিয়ার তিনটি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের নাম আছে। অব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ বিশ্বচ্যাম্পিয়ন। বিশ্বব্যাপী জরিপ করা হলে অব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশের কাছাকাছি কোন দেশ নেই। দেশে গণতন্ত্র নেই, গণতন্ত্রের নামে একনায়কতন্ত্র চলছে। খাদ্যের অভাবে কখনো দুর্ভিক্ষ হয় না। দেশ পরাধীন হলে অথবা একনায়কতন্ত্র চললে সেদেশে দুর্ভিক্ষ হবেই। দেশে গণতন্ত্র না থাকলে বৈষম্য সৃষ্টি হয়। বৈষম্য থেকেই দেখা দেয় দূর্ভিক্ষ।

আজ (২৩ অক্টোবর) রবিবার দুপুরে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয় মিলনায়তনে উপজেলা দিবস উপলক্ষে জাতীয় পার্টি আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তৃতায় তিনি এসব একথা বলেন। সভায় বক্তব্য রাখেন, জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু, কো-চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, প্রেসিডিয়াম সদস্য সাহিদুর রহমান টেপা, মীর আব্দুস সবুর আসুদ, এডভোকেট মোঃ রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, আলমগীর সিকদার লোটন, মেজর অব. রানা মোঃ সোহেল এমপি, মোঃ জহিরুল ইসলাম জহির, মোস্তফা আল মাহমুদ, আতিকুর রহমান আতিক, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা হেনা খান পন্নি, ভাইস চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম পাঠান, এইচ এম শাহরিয়ার আসিফ, যুগ্ম মহাসচিব মোঃ বেলাল হোসেন, জাতীয় ওলামা পার্টির আহবায়ক ড. ইরফান বীন তোরাব আলী, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সহ সভাপতি এম এ সোবহান।

জিএম কাদের  বলেন, ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে জ্বালানি তেল কিনতে পারছে না দেশ। একারণে, বিদ্যুতের অভাবে কৃষকরা সেচ দিতে পারবে না। আবার বিশ্বব্যাপী সারের দাম বেড়ে যাওয়ায় উচ্চমূল্যে সার কিনতে পারবে না কৃষকরা। অন্যদিকে প্রাকৃতিক দুর্যোগে প্রতি বছরই খাদ্যশষ্য নষ্ট হয় আমাদের। এছাড়া সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকেও বলা হচ্ছে, খাদ্য সংকট হবে। দিন দিন ডলারের দাম বেড়ে যাচ্ছে, অধিক দামে খাবারও কিনতে পারবে না বাংলাদেশ। তাই দুর্ভিক্ষ ঠেকাতেও দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হলেই সুশাসন এবং সামাজিক ন্যায় বিচার নিশ্চিত হবে। ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে প্রতিদিন নিত্যপণ্যের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। মানুষের ক্রয় ক্ষমতা কমে গেছে। সংসার চালাতে মানুষ হিমশিম খাচ্ছে। তাই যারা সরকারি ও বেসরকারি চাকরি করে তাদের কমপক্ষে ৩০% মহার্ঘভাতা দিতে হবে। আর মধ্যবিত্ত, নিম্নমধ্যবিত্ত ও অসহায় মানুষের জন্য ন্যায্যমূল্যে রেশনিং এর ব্যবস্থা করতে হবে।

তিনি বলেন, দিন দিন রিজার্ভ কমে যাচ্ছে। আবার আগামী বছর থেকে সুদ ও আসল সহ ২২ বিলিয়ন ডলার শোধ করতে হবে। তখন মারাত্মক অর্থনৈতিক সংকটে পড়তে পারে দেশ। যখন মেগা প্রকল্পের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যায় করা হচ্ছে, তখন শুধু সুইস ব্যাংকেই পাচার হয়েছে ৪ লাখ কোটি টাকা। মেগা প্রকল্পের নামে একটি শ্রেণীর দেশে টাকা রাখার জায়গা নেই। তারা বিদেশে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করছে। আর বেশির ভাগ মানুষই খাবার কিনতে পারে না, অর্থের অভাবে শিশুর চিকিৎসা হচ্ছে না। দেশের মানুষের কষ্ট যেনো কেউ বোঝে না। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে দেশের অর্থনীতি দূর্বল হয়নি। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আগেই দেশের রিজার্ভ কমে গেছে। দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার কারণে দেশের অর্থনীতিতে সংকট সৃষ্টি হয়েছে।

পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের অবদানের কথা উল্লেখ করে জিএম কাদের বলেন, উপনিবেশিক ব্যবস্থা ভেঙে সাধারণ মানুষের শাসন প্রতিষ্ঠিত করতেই উপজেলা ব্যবস্থা প্রবর্তণ করেছেন। উপজেলা পর্যায়ে ১৮টি দপ্তরে বিসিএস কর্মকর্তা নিয়োগ করে মানুষের চিকিৎসা, শিক্ষা, কৃষি, পশুপালন, মৎস্য চাষে বৈপ্লবিক উন্নতি সাধারণ করেছিলেন। শহরের সেবা গ্রামীণ মানুষের দুয়ারে পৌছে দিয়েছিলেন পল্লীবন্ধু। উপজেলা পর্যায়ে মুন্সেফ কোর্ট ও বিভাগীয় পর্যায়ে হাইকোর্টের বেঞ্চ স্থাপন করে আইনী সেবা মানুষের দোড়গোড়ায় পৌঁছে দিতে কাজ করেছেন পল্লীবন্ধু। পল্লীবন্ধু উপজেলা পরিষদ প্রতিষ্ঠা করে জনগণের কাছে জবাবদিহিতা মূলক একটি শাসন সৃষ্টি করেছিলেন। কিন্তু এখন উপজেলা পরিষদে জীবন নেই, উপজেলা পরিষদ যেন লাশ হয়ে আছে। এখন উপজেলা পরিষদ আমলা নির্ভর হয়ে পড়েছে। সেবার পরিবর্তে শোষণ চলছে উপজেলা পরিষদের নামে। আমরা পল্লীবন্ধুর স্বপ্নের প্রকৃত উপজেলা পরিষদ দেখতে চাই।

সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা রওশন আরা মান্নান এমপি, নাজনীন সুলতানা, ড. নুরুল আজহার শামীম, মাসরুর মওলা, গোলাম মোস্তফা, হারুন অর রশীদ, ইঞ্জিঃ মনির আহমেদ, মাহবুবুর রহমান লিপটন, ডা. মোস্তাফিজুর রহমান আকাশ, ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ আরিফুর রহমান খান, মেজর অব. আব্দুস সালাম, সালমা হোসেন, আহসান আদেলুর রহমান আদেল এমপি, আমির উদ্দিন আহমেদ ডালু, যুগ্ম মহাসচিব গোলাম মোঃ রাজু, একেএম আশরাফুজ্জামান খান, সৈয়দ মঞ্জুর হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক নাসির উদ্দিন সরকার, মোঃ হেলাল উদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহফুজার রহমান, আনোয়ার হোসেন তোতা, এনাম জয়নাল আবেদীন, হুমায়ুন খান, ওলিউল্লাহ চৌধুরী মাসুদ, মাখন সরকার, সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য সুলতান মাহমুদ, এম এ রাজ্জাক খান, মাসুদুর রহমান মাসুদ, জহিরুল ইসলাম মিন্টু, শাহাদৎ কবির, মঞ্জুরুল হক মঞ্জু, জাহাঙ্গীর হোসেন, গোলাম মোস্তফা, মিজানুর রহমান মিরু, যুগ্ম সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য আব্দুস সাত্তার গালিব, আজহারুল ইসলাম সরকার, বাহাদুর ইসলাম ইমতিয়াজ, আক্তার হোসেন দেওয়ান, আলাউদ্দিন মৃধা, মাহমুদ আলম, সমরেশ মন্ডল মানিক, শহীদ হোসেন সেন্টু, শাহজাহান কবীর চৌধুরী, ডা. সেলিমা খান, হাফেজ ক্বারী ইসারুহুল্লাহ আসিফ, আব্দুল আজিজ, দ্বীন ইসলাম শেখ, মীর সামছুল আলম লিপটন, কেন্দ্রীয় নেতা আবু সাঈদ স্বপন, কাজী মামুন, আব্দুল্লাহ আল মামুন, শফিকুল ইসলাম দুলাল, আব্দুল খালেক, ইঞ্জিনিয়ার আনিসুর রহমান, মোতাহার হোসেন মানিক, ইঞ্জিনিয়ার এলাহান উদ্দিন, সোলায়মান সামি, নিজাম উদ্দিন সরকার, লেঃ কর্ণেল (অব.) তসলিম উদ্দিন, জিয়াউর রহমান বিপুল, আব্দুর রাজ্জাক, মোখলেছুর রহমান বস্তু, মিনি খান, মিথিলা রওয়াজা, আনোয়ার হোসেন, শাহীন আরা সুলতানা রীমা, ইলোরা ইয়াসমিন, সৈয়দা মেহেরুন্নেসা হিয়া, শামীম আহমেদ রিজভী, নাজমিন সুলতানা তুলি, জাতীয় ছাত্র সমাজ এর সভাপতি ইব্রাহিম খান জুয়েল, সাধারণ সম্পাদক আল মামুন, হকার্স পার্টির সভাপাতি মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন আনু প্রমুখ।