রহমত নিউজ 18 October, 2022 08:30 PM
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা মামলায় কারাগারে থাকা আব্বাস আলীকে রাজশাহীর পবা উপজেলার কাটাখালী পৌরসভার মেয়রের পদ থেকে স্থায়ীভাবে অপসারণ করা হয়েছে। পৌরসভার ১২ জন কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলরের অনাস্থা প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের পৌর শাখা-২ এর উপসচিব ফারজানা মান্নান স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে আব্বাস আলীকে মেয়রের পদ থেকে অপসারণ করেন। গত ২ অক্টোবর এ প্রজ্ঞাপন জারি হয়। আজ মঙ্গলবার এ বিষয়টি জানাজানি হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় আব্বাস আলী একমাত্র আসামি। বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল স্থাপন নিয়ে তার বিতর্কিত অডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ায় তিনি গ্রেপ্তার হয়েছেন। তার বিরুদ্ধে পৌরসভার ১২ জন কাউন্সিলর অনাস্থা প্রস্তাব এনেছেন। তাদের অভিযোগ, আব্বাস আলী বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে কটূক্তি ও অশালীন বক্তব্য দিয়েছেন। এ ছাড়াও তার বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, কাউন্সিলর ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ভয়ভীতি দেখানো, আত্মীয়-স্বজন ও গুন্ডাবাহিনী দিয়ে হুমকি প্রদান, পৌরসভায় অরাজকতা, দুর্নীতি ও অনিয়মসহ বিভিন্ন অভিযোগ আনেন কাউন্সিলররা। স্থানীয় সরকার বিভাগের রাজশাহীর উপ-পরিচালক তাদের অভিযোগের তদন্ত করে মতামতসহ প্রতিবেদন দিয়েছেন। তার বিরুদ্ধে কাটাখালী পৌরসভার মোট সদস্য সংখ্যার দুই-তৃতীয়াংশের বেশি ভোট পাওয়ায় আইন অনুযায়ী তাকে পদ থেকে অপসারণ করা যুক্তিযুক্ত। তাই সাময়িক বরখাস্তকৃত মেয়র আব্বাস আলীকে স্থানীয় সরকার আইন অনুযায়ী অপসারণ করা হয়।
এছাড়া তিনি রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করছেন, এমন আরেকটি অডিও রেকর্ড ফাঁস হয়। এতে রাজশাহীতে তোলপাড় শুরু হয়। ওই ঘটনায় আব্বাস আলীর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন সিটি করপোরেশনের একজন কাউন্সিলর। পরে তাকে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। এরমধ্যেই পবা উপজেলা আওয়ামী লীগ তাকে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দেয়। এরপর তার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগে আরও কয়েকটি মামলা হয়। গ্রেপ্তারের পর থেকেই তিনি রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে আছেন।
উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগের মনোনয়নে পরপর দুবার কাটাখালী পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হন আব্বাস আলী। তিনি পৌর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ছিলেন।