রহমত ডেস্ক 17 October, 2022 10:51 AM
সেবা প্রত্যাশী এক নারীকে থানায় নয়, হোটেলে আসতে বললেন নোয়াখালী কোম্পানীগঞ্জে থানার এক (উপ-পরিদর্শক) এসআই রতন মিয়া। জানা যায়, হোটেলে বৈঠক বসতে অসম্মতি জানালে সেবা প্রত্যাশী এক নারীকে অশ্রাব্য-অশ্লীল ভাষায় গালাগাল করার অভিযোগ উঠেছে কোম্পানীগঞ্জ থানার এসআই মো.রতন মিয়ার বিরুদ্ধে। এমন আচরণে প্রত্যক্ষদর্শী এবং সাধারণ মানুষের মাঝে বিরুপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
সোমবার (১৭ অক্টোবর) সকালে কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাদেকুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে রোববার (১৬ অক্টোবর) রাতে এ ঘটনার জের ধরে কোম্পানীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. রতন মিয়াকে পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছে। তবে শনিবার (১৫ অক্টোবর) সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে কোম্পানীগঞ্জ থানার প্রধান ফটকে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী হলেন- কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরকাঁকড়া ইউনিয়নের আকবর হাজী বাড়ির মৃত আবু বক্কর ছিদ্দিকের স্ত্রী সেতারা বেগম।
ভুক্তভোগী নারী জানান, প্রায় ৭ মাস আগে উপজেলার সিরাজপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মেহের আলী কামলা বাড়ির সৌদি প্রবাসী সাইফুল ইসলাম তার ছেলে নুরনবীকে (২৭) প্রতারণা করে মিথ্যা তথ্য দিয়ে সৌদি নিয়ে ৪ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। এই প্রতারণার অভিযোগ তুলে গত ১৫ থেকে ২০ দিন আগে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করি। ওই অভিযোগে বিবাদী করা হয় সৌদি প্রবাসী সাইফুল ইসলামের মা-বাবা ও স্ত্রীকে।
তিনি আরও বলেন, কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি এ অভিযোগের তদন্ত করার দায়িত্ব দেন এসআই রতনকে। পরে সমস্যার সমাধান করতে রতন আমাদের কাছে ৫ হাজার টাকা দাবি করে। তবে তাকে ২ হাজার টাকা দেওয়া হয়। বাকি টাকা পরে দেওয়ার কথা ছিল। গত শুক্রবার প্রথম বৈঠকে থানায় বিবাদী পক্ষের কেউ আসেনি। দ্বিতীয় বৈঠকে বসার জন্য এসআই রতন বিবাদীদের বাড়িতে গিয়ে বৈঠকে বসার বিষয়ে বলে আসেন। তারপর গত শনিবার সন্ধ্যার দিকে এসআই ফোন দিয়ে জানায়, থানায় কোনো বৈঠক হবে না। বৈঠক হবে বসুরহাট বাজারের হক হোটেলে।
ওই ভুক্তভোগী আরও জানান, এ নিয়ে আমি রোস্তোরাঁয় গিয়ে বৈঠকে বসতে অস্বীকৃতি জানালে এসআই মুঠোফোনে গালাগাল করেন। তখন আমি বলি, থানায় অভিযোগ করেছি বৈঠকও থানায় হবে। এরপর এসআই আমাকে থানার গেটে আসতে বলেন। পরে থানার গেটের ভেতরে প্রবেশ করলে পুনরায় সে গালমন্দ করে। যা মুখে বলা যায় না।
এ বিষয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাদেকুর রহমান বলেন, ভুক্তভোগী সেতারা বেগম থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ দেয়নি। সম্পর্কের কারণে বিষয়টি সমাধানে এসআই রতন তৎপর ছিল। তবে গালিগালাজের যে ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়েছে তা দুঃখজনক। শনিবার (১৫ অক্টোবর) রাতেই তাকে ক্লোজড করা হয়েছে। -আরটিভি।