রহমত নিউজ 17 October, 2022 07:50 PM
মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে অবসরে পাঠানো তথ্য ও সম্প্রচার সচিব মো. মকবুল হোসেন বলেছেন, আমি জানি না কেন আমাকে অবসরে পাঠানো হলো। কিন্তু সরকারের এ রাইট আছে। এ বিষয়ে কথা বলার কোনো সুযোগ নেই। এ বিষয়ে অতৃপ্তি দেখানোর কোনো সুযোগ নেই। প্রত্যেকটি মানুষ নিজেই সবচেয়ে বড় বিচারক। সুতরাং আমি সেই বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে সবসময় প্রস্তুত। আজ (১৭ অক্টোবর) সোমবার সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে দুপুর দেড়টায় মন্ত্রণালয়ে আসেন বিদায়ী সচিব। এরপর সাংবাদিকরা তার বিরুদ্ধে ওঠা বিভিন্ন অভিযোগের বিষয়ে প্রশ্ন করেন।
বিদায়ী সচিব বলেন, আমরা লন্ডনে গিয়েছি গত মার্চ মাসে। আমরা একটা টিম নিয়ে গিয়েছিলাম। সেখানে আমাদের আশিকুন্নবী আছেন, আমাদের প্রেস। তাকে জিজ্ঞাসা করেন তাহলে বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যাবে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে কখনো সরাসরি দেখেননি, তাকে দেখার ইচ্ছে নেই। ‘প্রবাদে আছে, হাতি যখন কাদায় পড়ে, চামচিকাও লাথি মারে। সেটা তো মার্চ মাসে হয়েছে। এখন সেই প্রশ্নটা আসে কী করে। আমি তারেক রহমানকে কোনোদিন দেখেছি বলে মনে হয় না। তারেক রহমানকে দেখার ইচ্ছাও আমার নেই।
যেসব অভিযোগ এসেছে, সেগুলো বস্তুনিষ্ঠ হলে তা প্রকাশ করার অনুরোধও জানিয়ে মকবুল হোসেন বলেন, যদি প্রমাণ হয় বিএনপির সঙ্গে আমার যোগাযোগ ছিল আমি যেখানে থাকি আমাকে আসামির কাঠগড়ায় দাঁড় করাবেন। যে সারাজীবন একটাকে বিলং করলো, যে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে, সে বিএনপির লোকের সঙ্গে কানেকশন রাখবে, এটা হয় না। এটা হতে পারে? আমার জানামতে নেই। আমি যতদিন এখানে কাজ করেছি, সততার সঙ্গে করেছি, নিষ্ঠার সঙ্গে করেছি, সরকারকে সহযোগিতা করার চেষ্টা করেছি। আমার জানা নেই, আমার জ্ঞানের ভেতর নেই, আমার কোনো অপরাধ ছিল কি না বা কোন অপরাধের কারণে অবসরে দেওয়া হয়েছে, সেটি আমার জানা নেই। যেহেতু এটি সরকার পারে, আইনের ভেতরেই পারে সেজন্য এটি কার্যকর। আমি সরকারের প্রতি, প্রধানমন্ত্রীর প্রতি খুবই শ্রদ্ধাশীল।
বিদায়ী সচিব বলেন, অন্যান্য দলের সঙ্গে কানেক্টেড থাকার অভিযোগ আপনারা সাংবাদিক হিসেবে অনুসন্ধান করতে পারেন। সরকারবিরোধী কোনো অ্যাকটিভিটিজে আমার কোনো সম্পৃক্ততা ছিল কি না। যদি থেকে থাকে সেটি আপনারা প্রচার করতে পারেন, আমার পক্ষ থেকে কোনো অসুবিধা নেই। নিশ্চয়ই ছিল না। আমার আপন বড় ভাই আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ছিলেন। আমার ভাই আমার ফ্যামিলির। যদি ওখানকার এমপিকে জিজ্ঞেস করতেন, আমার রাজনৈতিক ব্যাকগ্রাউন্ড কী। তাহলে সবচাইতে ভালো। আমি হল ছাত্রলীগের সহ-সভাপতিও ছিলাম। মানুষ অনেক কথাই বলে। অনেক কিছুই শোনা যায়। শোনা কথা বিশ্বাস না করাই ভালো। আমার পক্ষ থেকে মন্ত্রীর সঙ্গে কেন দূরত্ব থাকবে? আমরা তো সবাই মিলেই কাজ করি। দূরত্বের কথা কেন আসছে আমি জানি না। আমি ওনাকে সম্মান করি।
তিনি বলেন, ‘আমরা এখানে চেষ্টা করেছি, আমাদের অফিস টাইমের পরেও সরকারকে সহযোগিতা করার জন্য, এ মন্ত্রণালয়ের মান-সম্মান-ইজ্জত বাড়ানোর জন্য আমি ব্যক্তিগতভাবে উদ্যোগী ছিলাম। আমি এমন কোনোদিন নেই যে ২ ঘণ্টা বেশি কাজ করিনি। আমি একটি কথা শুধু বলতে পারি, আমি কখনো আমার জীবনে নীতি-নৈতিকতার সঙ্গে কখনো কম্প্রোমাইজ করিনি। এরকম একটি অবস্থার জন্য তিনি প্রস্তত ছিলাম না। কারো বিরুদ্ধে কোনো অনুযোগ নেই। ওটা হলে হয়তোবা ভালো লাগতো, যে এ কারণে এ সিদ্ধান্তটা নিয়েছে। নিশ্চয়ই কোনো কারণ আছে। হয়তো রাষ্ট্রের কাছে যেটা আছে সেটা আমি জানি না।’ পথেঘাটে দেখা হবে। সচিবালয়ে দেখা হতে পারে। ভুল-অন্যায় হলে ভুলে যাবেন, ক্ষমা করবেন।