রহমত নিউজ 16 October, 2022 02:38 PM
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর এখন আর ঠুনকো দমকল বাহিনী না। আগে আগুন নেভার পরে তারা ঘটনাস্থলে যেত। কিন্তু এখন সংবাদ পেতে দেরি ঘটনাস্থলে যেতে দেরি হয় না। এখন সেই অবস্থা আর নেই। এই সরকারের আমলে ফায়ার সার্ভিসের সক্ষমতা বাড়ানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, প্রতিটি উপজেলায় একটি করে ফায়ার স্টেশন হবে, সেই ধারাবাহিকতা চলছে। ২০০৯ সালে সারাদেশে ফায়ার স্টেশন ছিল ২০৮টি। বর্তমানে সারাদেশে সচল স্টেশন রয়েছে ৪৯০টি। ফায়ার সার্ভিসকে আন্তর্জাতিক মানের এবং সক্ষমতা বাড়ানো হয়েছে, এতে সেবার মানও বেড়েছে।
আজ (১৬ অক্টোবর) রবিবার রাজধানীর বঙ্গবাজার ফায়ার সার্ভিস সদরদপ্তরে বিশ্বের সর্বাধিক উচ্চতার (৬৮ মিটার) টার্ন টেবল লেডার (টিটিএল) গাড়ির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আখতার হোসেন, সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব মো. আব্দুল্লাহ আল মাসুদ চৌধুরী ও ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন প্রমুখ।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এখন ফায়ার সার্ভিস উপস্থিত হয়, ঝাপিয়ে পড়ে। সব সময় প্রস্তুত থাকে, জীবন উৎসর্গ করে যেকোনো দুর্যোগে ঝাপিয়ে পড়তে। বর্তমানে যে টিটিএল গাড়ি সংযোজিত হলো, এতে ২৪ তলা পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণ বা যেকোনো দুর্যোগ মোকাবিলা সম্ভব। এই সরকার ক্ষমতায় আসার আগে ফায়ার সার্ভিসের ছয় হাজার জনবল ছিল। কিন্তু বর্তমানে তা ১৪ হাজারে উন্নীত হয়েছে। কদিন পরে ১৬ হাজার এবং তারপর ৩১ হাজারে উন্নীত করতে কাজ চলছে। ফায়ার সার্ভিস এখন শুধু দুর্যোগে কাজ করছে না। যেকোনো সড়ক দুর্ঘটনায় তারা কাজ করছে। এ সময় আহত বা নিহতদের উদ্ধার করে তাদের অ্যাম্বুলেন্সে হাসপাতালে নিচ্ছে। বর্তমানে সংস্থাটিতে ১৯০টি অ্যাম্বুলেন্স রয়েছে। আরো ৭৫৭টি অ্যাম্বুলেন্স কেনা হবে।
তিনি আরো বলেন, পার্বত্য এলাকায় কেএনএফসহ অন্যান্য বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনগুলোর সঙ্গে জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কেএনএফ, তারপর সন্তু লারমার একটা বাহিনী রয়েছে। পার্বত্য এলাকায় এমন আরও অনেক বাহিনী রয়েছে। এরা সবসময়ই আমাদের সীমান্ত এলাকায় একটি অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির প্রয়াস চালাচ্ছে। পার্বত্য চট্টগ্রামের তিনটি জেলাতেই প্রয়োজনমতো আমাদের পুলিশ, বিজিবি, র্যাব, সেনাবাহিনী ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। বিচ্ছিন্নতাবাদীদের আমরা আমাদের এলাকায় থাকতে দিচ্ছি না। তাদের সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। যখনই বুঝতে পারছি, কোনো বিচ্ছিন্নতাবাদী কিংবা জঙ্গি সংগঠন বাংলাদেশে অবস্থান করছে, আমরা তাদের সরিয়ে দিচ্ছি। কেএনএফ’র সঙ্গে জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার বিষয়গুলো আমরা দেখছি। যদি সংশ্লিষ্টতা পাই, আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। ধারণা করছি, যে জঙ্গিরা সেখানে গিয়েছিল, তারা কেএনএফ’র ক্যাম্পের পাশাপাশি অবস্থান করছিল। আমরা এগুলো দেখছি। জঙ্গিদের কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছি এবং কয়েকজনকে শনাক্ত করেছি। তাদের কাছ থেকে বিষয়গুলো জেনে আপনাদের জানাতে পারব।