রহমত নিউজ 16 October, 2022 03:56 PM
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন-ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, জন্মনিবন্ধন করাতে এসে সাধারণ মানুষকে পদে পদে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এই ভোগান্তি লাঘবে জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন নিয়ে যারা কাজ করছেন তাদেরকে এই সেবা সহজ করতে কাজ করতে হবে। জন্মনিবন্ধন ভোগান্তি বিষয়ে মানুষের অসন্তোষ এবং ক্ষোভের রোষাণলে কিন্তু আমাদের জনপ্রতিনিধিদের পড়তে হয়। কারণ মানুষের যখন কিছু করার থাকে না, কোনো উপায় পান না, তখন কিন্তু তারা জনপ্রতিনিধির কাছে আসেন এবং তাদের সমস্যার কথা জানান। সেই সঙ্গে তাদের অসন্তোষের কথা জানান। তাই জন্মনিবন্ধন কেন্দ্রিক যেসব জটিলতা ও সমস্যা থাকে সেগুলোর কথা কিন্তু আমাদেরকেই প্রথম শুনতে হয়। তখন বুঝি এটা কতটা জটিল।
আজ (১৬ অক্টোবর) রবিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস-২০২২ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মোহাম্মদ মেসবাহ উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব জিয়াউল আলম, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্থার) সামসুল আরেফিন, ইউনিসেফ বাংলাদেশের অফিসার ইনচার্জ ড. সাজা ফারুক আব্দুল্লাহ প্রমুখ।
ডিএসসিসি মেয়র বলেন, আগে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন পাঁচটি অঞ্চল নিয়ে গঠিত ছিল। এখন সেটি বেড়ে দশটি অঞ্চলে রূপান্তরিত হয়েছে। কিন্তু আমাদের এখনও পাঁচটি অঞ্চলেরই জনবল রয়েছে। এই পাঁচ অঞ্চলের জনবল দিয়েই আমাদের ১০টি অঞ্চল পরিচালনা করতে হয়। অর্থাৎ আমাদের জনবল সংকট রয়েছে। এরমধ্যে জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধক হিসেবে কোনো কর্মকর্তা আগে নিয়োগ ছিল না, পরে আমরা কিছু জনবল নিয়োগ দিয়েছি। কিন্তু তারপরও জনবল সংকট রয়ে গেছে।
তিনি বলেন, বিশেষ করে স্কুলগুলোতে যখন ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয় তখন আমাদের চাপটা বেশি পড়ে জন্মনিবন্ধন বিষয়ে। সাধারণ মানুষ জন্মনিবন্ধন করাতে এসে পদে পদে ভোগান্তির শিকার হয়। সমস্যার মুখে পড়ে মানুষ তার কাজ করাতে ব্যর্থ হয়ে দালালের শরণাপন্ন হয়। তবে আমরা দালালের দৌরাত্ম্য দূর করতে, অনিয়ম দূর করতে একটা সিস্টেম করেছি। সেটি হচ্ছে সিটি করপোরেশন আঞ্চলিক কার্যালয়ে জন্মনিবন্ধন করাতে যারা আগে আসবেন, তাদেরকে একটি ক্রমিক নম্বর দেওয়া হবে। সেই ক্রমিক নম্বর অনুযায়ী একজনের পর অন্যজনের সমস্যার সমাধান করা হবে। তাহলে মানুষ আর দালালের কাছে যাবে না, অবৈধ পথে যাবে না। এভাবে কিছুটা ভোগান্তি দূর করার জন্য আমরা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি।
তিনি আরো বলেন, আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশে ডিজিটাল কার্যক্রম পরিচালনা করছি। কিন্তু জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন কার্যালয়ের যে সার্ভার রয়েছে তার সক্ষমতা অত্যন্ত অপ্রতুল। তাদের সক্ষমতা বাড়িয়ে আসল ডিজিটাইলাইজেশন কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। প্রথমেই তাদের সার্ভারের সক্ষমতা বাড়িয়ে জনগণের ভোগান্তি দূর করতে হবে। জন্মনিবন্ধন কেন্দ্রিক যে প্রক্রিয়াগত জটিলতাগুলো রয়েছে এগুলো দূর করে সাধারণ মানুষের জন্য যত সহজভাবে করা যায় সেটা করার উদ্যোগ নেওয়া খুব জরুরি।