| |
               

মূল পাতা জাতীয় মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই তথ্যসচিবকে অবসর প্রদান


মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই তথ্যসচিবকে অবসর প্রদান


রহমত নিউজ     16 October, 2022     04:17 PM    


মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মকবুল হোসেনকে অবসর প্রদান করা হয়েছে। ২০২৩ সালের ২৫ অক্টোবর অবসরে যাওয়ার কথা ছিল মো. মকবুল হোসেনের। তার এক বছর আগেই তাকে অবসরে পাঠালো সরকার। আজ (১৬ অক্টোবর) রবিবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কে এম আলী আজম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মকবুল হোসেনকে সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ এর ধারা ৪৫ অনুযায়ী জনস্বার্থে সরকারি চাকরি হতে অবসর প্রদান করা হলো। জনস্বার্থে জারিকৃত এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।

সরকারি চাকরি আইনের ৪৫ নং ধারায় বলা হয়, কোনো সরকারি কর্মচারীর চাকরির মেয়াদ ২৫ বছর পূর্ণ হওয়ার পর যেকোনো সময় সরকার জনস্বার্থে প্রয়োজনীয় মনে করলে কোনো কারণ না দেখিয়ে তাকে চাকরি থেকে অবসর প্রদান করতে পারবে, তবে শর্ত থাকে যে, যেক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতি নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ, সেক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতির অনুমোদন গ্রহণ করতে হবে।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ সাংবাদিকদের জানান, অর্ডার হয়েছে শুনেছি, তবে কি কারণে হয়েছে তা জানি না।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অ‌তি‌রিক্ত স‌চিব (এ‌পি‌ডি) মো. আব্দুস সবুর মন্ডল বলেন, কারো চা‌করির মেয়াদ ২৫ বছর পূ‌র্তি হ‌লে সরকার তা‌কে অবস‌রে পাঠা‌তে পা‌রে। মকবুল হোসেনকে কেন অবসরে পাঠানো হয়েছে, সে বিষয়ে কিছু বলেন‌নি তি‌নি।

মকবুল হোসেন বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারের ১০ম ব্যাচের কর্মকর্তা হিসেবে ১৯৯১ সালে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসে যোগদান করেন। তিনি তাঁর চাকরি জীবনের বেশির ভাগ সময় মাঠ প্রশাসনে কর্মরত ছিলেন। মাঠ প্রশাসনে সহকারী কমিশনার, সহকারী কমিশনার (ভূমি), প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, জেলা পরিষদ; পরিচালক, পরিবেশ অধিদপ্তর এবং সদস্য (ভূমি ও সম্পত্তি ব্যবস্থাপনা), জাতীয় গৃহান কর্তৃপক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি পিএএ ২০২১ সালের ৩১ মে সচিব হিসেবে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে যোগদান করেন। এ পদে যোগদানের আগে তিনি যৌথমূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের পরিদপ্তরে রেজিস্ট্রার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এর আগে তিনি বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।