রহমত নিউজ 13 October, 2022 06:31 PM
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এই সরকার গণমাধ্যমকে পুরো দমে ধ্বংস করে দিয়েছে। নতুন একটি বিজ্ঞপ্তিতে ২৯টি বিভাগকে ডিজিটাল সিকিউরিটি ১৫ এর (ক) ধারায় নিয়ে আসা হয়েছে। যেগুলো বাংলাদেশের রাষ্ট্রের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ। এর কারণ হলো, এই বিভাগগুলো নিয়ে সাংবাদিকরা ইচ্ছে করলেই কোনো কিছু বলতে ও লিখতে পারবেন না। আপনারা এটা কেউ দেখেননি, পড়েননি? অথচ এটা যে কত বড় সর্বনাশ হয়েছে তা আজ পর্যন্ত কোন সাংবাদিক সংস্থাসহ কেউ বলেনি।
আজ (১৩ অক্টোবর) বৃহস্পতিবার দুপুরে ঠাকুরগাঁওয়ে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে স্থানীয় নেতৃবৃন্দদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভার আগে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।সভায় উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির জেলা সভাপতি তৈমুর রহমান, সহ-সভাপতি ওবায়দুল্লাহ মাসুদ, দপ্তর সম্পাদক মামুনুর রশিদসহ জেলা ও উপজেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ।
মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ ও নির্বাচন কমিশনের ভাগ বাটোয়ারা ঠিকমতো না হওয়ার কারণেই গাইবান্ধার নির্বাচন বন্ধ রাখা হয়েছে। গাইবান্ধা-৫ আসনের উপ-নির্বাচনে আবারও প্রমাণিত হলো যে, এই সরকারের অধীনে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠ নির্বাচন সম্ভব নয়। সমস্ত শক্তি প্রয়োগ করেও বর্তমান নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠ নির্বাচন করতে না পারার কারণেই নিজেরাই নির্বাচনকে বন্ধ করেছেন। আমরা শুরু থেকেই বলে এসেছি এই সরকারের অধীনে কখনো সুষ্ঠ নির্বাচন হবে না। গাইবান্ধার উপ-নির্বাচনের ভোট তা আবারও প্রমাণ করেছে। সেই সঙ্গে এটাও প্রমাণ করে নির্বাচন কমিশন একটি ব্যর্থ নির্বাচন কমিশন।
প্রধানমন্ত্রীর মহাসংকটের প্রস্তুতি নেওয়ার বক্তব্য নিয়ে তিনি বলেন, যদি দুর্ভিক্ষ হয় তাহলে প্রধানমন্ত্রী আছেন কেন? দুর্ভিক্ষ নিয়ন্ত্রণ করার দায়িত্ব তো তার। যদি নিয়ন্ত্রণ না করতে পারেন তাহলে আপনি পদত্যাগ করুন। দেশের মানুষের জন্য কিছু করতে না পারলে আপনার প্রধানমন্ত্রী থাকার কোনো প্রয়োজন নেই। গতকাল চট্টগ্রামের সমাবেশে লাখো মানুষের উপস্থিতি জানান দিয়েছে সরকারের সময় শেষ হয়ে গেছে। এর মাধ্যমেই সরকারের পতন হবে।
এই এলাকার অন্যান্য সংবাদ দেখতে ক্লিক করুন: রংপুর ঠাকুরগাঁও ঠাকুরগাঁও সদর