| |
               

মূল পাতা স্বাস্থ্য ডেঙ্গু আক্রান্ত ও মৃত্যুতে ঢাকার পরই কক্সবাজার


ডেঙ্গু আক্রান্ত ও মৃত্যুতে ঢাকার পরই কক্সবাজার


স্বাস্থ্য ডেস্ক     13 October, 2022     03:07 PM    


স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. আহমেদুল কবির বলেছেন, ঢাকার পর ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা কক্সবাজারে সবচেয়ে বেশি ১ হাজার ৩৬৮ জন। মোট আক্রান্তদের মধ্যে ডেঙ্গুতে বেশি আক্রান্ত ২০ বছরের বেশি বয়সীরা। আজ (১৩ অক্টোবর) বৃহস্পতিবার রাজধানীর মহাখালীতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে সারা দেশের ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান

ড. আহমেদুল কবির জানান, হাসপাতালে ভর্তির তিন দিনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৪৮ জন ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যু হয়েছে। ৩-৬ দিনের মধ্যে ১৮ জন, ৬-৯ দিনের মধ্যে ৬ জন এবং ৯-৩০ দিনের মধ্যে তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সবচেয়ে বেশি মৃত্যুবরণ করছেন ৪০ থেকে ৫০ বছরের মানুষ। ডেঙ্গুতে ঢাকার বাইরেই সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হচ্ছে। আর এতে নারীদের মৃত্যু হার পুরুষের তুলনায় বেশি। আর হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার তিন দিনের মধ্যে ডেঙ্গুতে মারা যাচ্ছে আক্রান্তরা। ঢাকার বাইরে জেলার মধ্যে মৃত্যুর সংখ্যাও কক্সবাজারে বেশি। ডেঙ্গুবিরোধী সচেতনতামূলক কর্মসূচির পাশাপাশি ট্রেনিং চলছে। চিকিৎসার পাশাপাশি জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা জরুরি। বেসরকারি হাসপাতালগুলোকে নিয়ে বসবেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডেঙ্গু সংক্রান্ত প্রেজেন্টেশনে বলা হয়, ১২ অক্টোবর পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ২২ হাজার ৫১৭ জন। যা গত বছর ছিল ২৮ হাজার ৪২৯ জন, ২০২০ সালে ছিল ১৪০৫ জন। তবে সবচেয়ে বেশি ছিল ২০১৯ সালে ১ লাখ ১ হাজার ৩৫৪ জন। ঢাকা সিটি কর্পোরেশন এলাকায় চলতি বছরের ১২ অক্টোবর পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ১৬ হাজার ৭৬২ জন। ঢাকার বাইরে ৫ হাজার ৭৭৫ জন। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের সংখ্যা ৬৪৭ জন। এর মধ্যে ঢাকায় ৪১৫ জন। ঢাকার বাইরে ২৩২ জন। ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু নারীর ৪৬ জন, পুরুষ ২৯ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, ২০১৯ সালে মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ১৭৯, ২০২০ মৃত্যু হয় ৭ জনের। আর ২০২১ সালে মৃত্যু হয় ১০৫ জনের। সর্বশেষ ২০২২ সালের ১২ অক্টোবর পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৭৫ জনের। ২০২০ সালে ১ লাখ ৮ হাজার ২০০ পিস ডেঙ্গু টেস্ট কিট (এনএস১) বিতরণ করা হয়েছে, ২০২১ সালে বিতরণ করা হয়েছে ১ লাখ ৩৫ হাজার ৬০০ পিস। চলতি বছরের ১২ অক্টোবর পর্যন্ত কিট বিতরণ করা হয়েছে ১ লাখ ৮৩ হাজার ৫৫০ পিস।