‘বিএনপির আহ্বানে সারা দেশে লাখ লাখ মানুষ জেগে উঠেছে’

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদীন ফারুক বলেছেন, সরকারের সীমাহীন লুটপাট ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে আজ বিএনপির আহ্বানে সারা দেশে লাখ লাখ মানুষ জেগে উঠেছে। তারা সরকারের গর্জনকে ভয় পায় না। এই ভোট ডাকাত, ব্যাংক ডাকাত ও লুটেরা সরকারের বিরুদ্ধে জনগণ এখন ঐক্যবদ্ধ। এই সরকার অবৈধ। আপনারা চায়ের দাওয়াত দিবেন আবার চাইনিজ রাইফেল দিয়ে মানুষ মারবেন সেটা হবে না। ভালো চাইলে অবিলম্বে পদত্যাগ করুন, তা না করলে শ্রীলংকার মতো গায়ের গেঞ্জিও থাকবে না।

আজ (২১ সেপ্টেম্বর) বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, তার সহধর্মিণী শামীমা বরকত ও দলের নির্বাহী কমিটির সদস্য তাবিথ আউয়ালসহ সংশ্লিষ্ট নেতাদের ওপর বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদ ও হামলাকারীদের চিহ্নিত করে গ্রেফতারের দাবিতে জিয়াউর রহমান সমাজকল্যাণ পরিষদের মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সংগঠনের সভাপতি গিয়াস উদ্দিন খোকনের সভাপতিত্বে ও মঞ্জুর হোসেন ভুঁইয়ার পরিচালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, নির্বাহী সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, তাঁতী দলের কাজী মনিরুজ্জামান মনির, কৃষক দলের সাবেক নেতা শাহজাহান মিয়া সম্রাট, বর্তমান যুগ্ম সম্পাদক রকিবুল ইসলাম রিপন, জিয়া নাগরিক ফোরামের মিয়া মো. আনোয়ার প্রমুখ।

জয়নুল আবদীন ফারুক বলেন, দুর্ভাগা দেশ, দুর্ভাগা দেশের মানুষ। রাতের অন্ধকারে ব্যালটে সিল মেরে ভোটাধিকার হরণ করে ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ। আমাদের ঘনিষ্ঠ নেতা বরকত উল্লাহ বুলু কখনো স্বৈরচার সরকারের কাছে মাথা নত করেননি। আজকে তার ওপর হামলা করা হয়েছে যা অত্যন্ত পরিকল্পিত ও ন্যাক্কারজনক। আসলে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা করা হয়েছিল। এখন আমাদের দাবি একটাই। অবিলম্বে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি, তারেক রহমানের মামলা প্রত্যাহার ও দেশে ফিরতে দিতে হবে। ইনশাআল্লাহ এই গণতান্ত্রিক আন্দোলনে আঘাত আসবে কিন্তু আমরা রাজপথ ছাড়ব না। প্রয়োজনে পাল্টা আঘাতের প্রস্তুতি নিতে হবে।