| |
               

মূল পাতা রাজনীতি অন্যান্য মিয়ানমার দূতাবাসের উদ্দেশে লংমার্চ করার ঘোষণা


মিয়ানমার দূতাবাসের উদ্দেশে লংমার্চ করার ঘোষণা


রহমত ডেস্ক     19 September, 2022     06:26 PM    


সীমানা লঙ্ঘন ও হামলাসহ রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তন ইস্যুতে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে মিয়ানমারকে শক্ত জবাব না দিলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মিয়ানমার দূতাবাসের উদ্দেশে লংমার্চ করার ঘোষণা দিয়ে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেছেন, বাংলাদেশের আকাশ সীমানায় মিয়ানমার হেলিকপ্টার অসতর্কতাবশত আসেনি, বরং তারা বোঝাতে চায়, আমরা তোমাদের কেয়ার করি না। রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে চলে যেতে হবে। বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে কোনো বিএনপি নেই, কোনো আওয়ামী লীগ নেই, কোনো জাতীয় পার্টি নেই, ছাত্র অধিকার পরিষদ নেই। দেশের ওপর হামলা হলে সবাইকে এক হয়ে প্রতিবাদ করতে হবে। দেশের ওপর হামলা হলে যদি আঘাত না লাগে, প্রতিবাদ না করেন, তাহলে বুঝবো আপনাদের রাজনীতি কোনো দেশপ্রেমের রাজনীতি না। আপনাদের রাজনীতি গদি বাঁচিয়ে রাখার রাজনীতি।

আজ(১৯ সেপ্টেম্বর) সোমবার বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে সম্প্রতি বাংলাদেশ সীমান্তে মিয়ানমারের হামলার প্রতিবাদে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ আয়োজিত এক ছাত্র সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি আখতার হোসেন বলেন, মিয়ানমারের গোলা আমাদের মাঝে পড়লেও সরকার শক্ত জবাব দিতে ব্যর্থ হয়। কিন্তু আমরা ন্যায্য কোনো দাবি নিয়ে রাস্তায় নামলে পেটুয়া বাহিনী দিয়ে দমন করা হয়। মিয়ানমার আমাদের সার্বভৌমত্বের দিকে হাত বাড়িয়েছে। আর সরকার নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে। প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে যদি আমরা শক্ত অবস্থান রাখতে পারতাম তাহলে মিয়ানমার এত কিছু করার সাহস দেখাতে পারতো না। রোহিঙ্গা ইস্যুতে সরকার এখনো মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে পেরে উঠতে পারেনি। মিয়ানমারকে সমুচিত শিক্ষা দিতে হবে।

ছাত্র অধিকার পরিষদের সিনিয়র সহ-সভাপতি তরিকুল ইসলাম বলেন, আজ বাংলাদেশ সরকার একটি নতজানু পররাষ্ট্রনীতি চালু রেখেছে। এমন পররাষ্ট্রনীতি আমাদের ভারতের চাকর করে রেখেছে।  প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আমরা ভারতকে যা দিয়েছি তা তারা সারাজীবন মনে রাখবে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমি ভারতে অনুরোধ করেছি তারা যেন আওয়ামী সরকারকে টিকিয়ে রাখে। একটি দেশের প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী যখন এমন কথা বলেন, তখন আর সার্বভৌমত্ব থাকে কোথায়? সমাবেশে সার্বিকভাবে ব্যর্থ কূটনীতির জন্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেনের পদত্যাগ দাবি করেন বক্তারা।