রহমত ডেস্ক 15 September, 2022 08:24 PM
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, যারা এইভাবে অস্ত্র উঁচিয়ে ক্ষমতা দখল করে, ক্ষমতা উচ্ছিষ্ট বিলিয়ে দল গঠন করেছিল এবং ক্ষমতাকে নিষ্কণ্টক করার জন্য হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করেছিলো, আওয়ামী লীগের হাজার হাজার কর্মীকে হত্যা করেছিল, সেই বিএনপি আজ গণতন্ত্রের কথা বলে বিশ্ব গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে বিবৃতি দেয়, যা হাস্যকর। বিএনপির ২২ দলীয় ঐক্যজোটের মধ্যে তালেবানরাও আছে। যে আফগানিস্তানে মতপ্রকাশের কারণে শিরোচ্ছেদ করা হয়, সেই ভাবধারার রাজনীতির দলগুলোকে এবং সাথে রেখেছে জামায়াতকে, যারা দেশটাই চায়নি। সুতরাং তারাই হচ্ছে আজকের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থার প্রধান অন্তরায়।
আজ (১৫ সেপ্টেম্বর) বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর কাকরাইলে তথ্য ভবন মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ আয়োজিত জনতার সরকার ইন্টারেক্টিভ ওয়েবপোর্টাল janatarsarkar.gov.bd উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। জনতার সরকার পোর্টালটি বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের অধীন ডিজিটাল লিটারেসি সেন্টারের আওতায় পরিচালিত হবে। জনতার সরকার পোর্টাল ও সরকারের ই-মেইল সেবার প্রকল্প পরিচালক সাইফুল ইসলাম, এটুআই ও ইউএনডিপি প্রতিনিধিরা অনুষ্ঠানে যোগ দেন। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সভাপতিত্বে সংসদ সদস্য নাহিদ ইজাহার খান, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক রঞ্জিত কুমার এবং জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বেগম জিয়াও কম যাননি, কোটালীপাড়ায় ৭৬ কেজি বোমা হামলা, ২০০৪ সালে ঢাকার প্রাণকেন্দ্রে দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দলের কার্যালয়ের সামনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে গ্রেনেড হামলা পরিচালনা করা হয়। আওয়ামী লীগের ৫জন সংসদ সদস্য আহত, আইভী রহমানসহ ২২ জন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ২ জন অজ্ঞাতসহ ২৪ জন হত্যাকান্ডের শিকার, ৫ শতাধিক আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী আহত হয়েছিল। অন্য আহতদের মতো আমার শরীরে এখনো বহু স্প্রিন্টার আছে। ২০১৩-১৪-১৫ সালে সরকার পতনের লক্ষ্যে মানুষকে দিনের পর দিন অবরোধের নামে ঘরের মধ্যে অবরুদ্ধ করে রেখেছে এবং পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ করে শতশত মানুষকে হত্যা করেছে, হাজার হাজার মানুষকে আগুনে ঝলসে দিয়েছে।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্রের অভিযাত্রা নিরবচ্ছিন্ন করার ক্ষেত্রে প্রধান প্রতিবন্ধক হচ্ছে বিএনপি। এটিই আজ গণতন্ত্র দিবসের বাস্তবতা। গণতান্ত্রিক অভিযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য যা কিছু আজকে বিএনপিই করছে এবং গণতান্ত্রিক রীতিনীতি ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থার ক্ষেত্রে তারাই প্রধান অন্তরায়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র রচনার লক্ষ্যে জীবন দিয়ে এ দেশ রচনা করে গেছেন। কিন্তু আমাদের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা তখনই হোঁচট খায়, যখন ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। এরপরই জিয়াউর রহমান প্রথমে খন্দকার মুশতাককে হটিয়ে এবং পরে অস্ত্র ঠেকিয়ে বিচারপতি সায়েমের স্বাক্ষর নিয়ে রাষ্ট্রপতি বনে যান। এরপর জিয়াউর রহমান ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট বিলিয়ে রাজনীতির কাকদের সমন্বয় ঘটিয়ে বিএনপি দল করেন। ক্ষমতা নিষ্কন্টক করতে হাজার হাজার সেনাসদস্যকে নির্মমভাবে হত্যা করেন।