| |
               

মূল পাতা সারাদেশ মহানগর ‘লাল চিহ্নিত এলাকায় সড়কে হাঁটার পথে হকার বসতে দেবো না’


‘লাল চিহ্নিত এলাকায় সড়কে হাঁটার পথে হকার বসতে দেবো না’


রহমত ডেস্ক     07 September, 2022     06:53 PM    


আগামী সপ্তাহ থেকে লাল চিহ্নিত অতি গুরুত্বপূর্ণ সড়কে আর হকার বসতে না দেয়ার ঘোষণা দিয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন-ডিএসসিসির মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, আজকে বঙ্গবন্ধু এভিনিউ হকার্স মার্কেটের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের মাধ্যমে আমরা একটি নতুন পদক্ষেপে যাচ্ছি, নতুন কার্যক্রমে যাচ্ছি। যেমনি আমরা ১০ তলা মার্কেটে তাদেরকে পুনর্বাসন করব, তার সাথে সাথে আগামী সপ্তাহ থেকে নির্দিষ্ট রাস্তায় নির্দিষ্ট সড়ক চিহ্নিত করব। কেবল অতি গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো লাল চিহ্নিত করা হবে। হলুদ ও সবুজ চিহ্নিতও করা হবে। লাল চিহ্নিত এলাকায় সড়কে হাঁটার পথে আর হকার বসতে দেবো না। আগামী সপ্তাহ থেকে লাল চিহ্নিত অতি গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো থেকে হকার সরানোর অভিযান শুরু করব।

আজ (৭ সেপ্টেম্বর) বুধবার ১০ তলা বিশিষ্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউ বিপনী বিতানের নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের পর সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। এছাড়াও আজ মেয়র মুগদাপাড়া কমিউনিটি সেন্টার, শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট সংলগ্ন নিমতলী মোড়ে সড়ক সম্প্রসারণ এবং বুড়িগঙ্গা আদি চ্যানেলে চলমান খনন কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ, করপোরেশনের সচিব আকরামুজ্জামান, প্রধান প্রকৌশলী সালেহ আহম্মেদ, অঞ্চল-১ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মেরীনা নাজনীন ২০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ফরিদ উদ্দিন আহম্মদ রতন, সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর রোকসানা ইসলাম চামেলী উপস্থিত ছিলেন।

বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আধুনিক দশতলা বিপণি বিতান নির্মাণ কাজ হকারদের প্রতীক্ষা পূরণের আশাবাদ জানিয়ে ডিএসসিসির মেয়র বলেন, এটি দীর্ঘদিনের প্রতীক্ষিত ছিল। অত্র এলাকার হকার ভাই-বোনদের অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি মার্কেট। দীর্ঘসূত্রিতার কারণে দীর্ঘদিন এটা করা হয়নি। আজকে অত্যন্ত আনন্দিত যে, এটার কাজ শুরু করতে পেরেছি। আশা করব আগামী দুই বছরের মধ্যে এর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হবে। হকার ভাই-বোনদের জন্য এটি একটি বড় মার্কেট হবে। তারা তাদের কার্যক্রম সফলভাবে সম্পন্ন করতে পারবে।

ডিএসসিসির মেয়র বলেন, ২০১৯ সালে ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাব যেরকম মহামারীর আকার ধারণ করেছিল এবার সেই পর্যায়ে যেতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করেছিল। এজন্য প্রথম থেকেই আগাম প্রস্তুতি নিয়েছি। যে জরিপগুলোর ফলাফল এসেছিল সেগুলোর ওপর ভিত্তি করে চিরুনি অভিযান পরিচালনা করা হযেছে এবং বিগত দুই মাসব্যাপী নিয়ন্ত্রণ কক্ষ পরিচালনা করে (এডিস মশার) উৎসগুলোর ধ্বংসের মাধ্যমে প্রত্যেকদিন দিনব্যাপী ব্যাপক কার্যক্রম নিয়েছি। যার ফলশ্রুতিতে ঢাকাবাসীকে এডিস মশার বিস্তার থেকে মুক্তি দিতে পেরেছি।

তিনি আরো বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে অসময়ে বৃষ্টিপাত হলেও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় ডেঙ্গু রোগ পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, গতকালের পরিসংখ্যান (স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী) অনুযায়ী আমাদের রোগীর সংখ্যা ৪০ জন, যা এ পর্যন্ত এই মৌসুমে সর্বোচ্চ। কারণ পুরো মৌসুমে আমরা কাজ করে ৩০, ২৫, ২০, ১৫ জনের কাতারে রাখতে সক্ষম হয়েছি। কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে শেষ পর্যায়ে এসে একটু বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু আমরা মনে করি ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাব দক্ষিণ সিটিতে এখনো পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ডেঙ্গু রোগে যারা নিহত হয়েছেন আমি তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এলাকায় এ যাবত দু'জন মারা গেছেন।

উল্লেখ্য, এ বছর ডেঙ্গু রোগে সারাদেশে ৩১ জন মারা গেছেন। 


এই এলাকার অন্যান্য সংবাদ দেখতে ক্লিক করুন: ঢাকা ঢাকা বংশাল