| |
               

মূল পাতা রাজনীতি অন্যান্য ইভিএম নিয়ে ইসি তেমন কিছু বলতে পারেনি : আওয়ামী পার্টি


ইভিএম নিয়ে ইসি তেমন কিছু বলতে পারেনি : আওয়ামী পার্টি


রহমত ডেস্ক     05 September, 2022     04:28 PM    


ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন-ইভিএম নিয়ে নির্বাচন কমিশন-ইসি আমাদের তেমন কিছু বলতে পারেনি বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি।  জনগণের কাছে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন-ইভিএমের গ্রহণযোগ্যতা যদি নির্বাচন কমিশন তৈরি করতে পারে, তবেই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যন্ত্রটির ব্যবহার চায় আওয়ামী পার্টি।

আজ (৫ সেপ্টেম্বর) সোমবার  নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশন-ইসি আয়োজিত সংলাপে এসে দলটি এমন অবস্থানের কথা জানায়। সংলাপে দলের ভারপ্রাপ্ত কার্যকরী সভাপতি আইভি আহমেদের নেতৃত্বে ৯ সদস্যের প্রতিনিধি দল অংশ নেয়। প্রধান নির্বাচন কমিশনার-সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল ছাড়াও সংলাপে চার নির্বাচন কমিশনার এবং ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সংলাপের পর আইভি আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, আমরা সুষ্ঠু নির্বাচনের বিষয়ে কথা বলেছি এবং এজন্য যে বাধা আসবে তা মোকাবিলা করার জন্য বলেছি। ওনারা আশ্বাস দিয়েছেন। যেহেতু ওনারা বিশেষজ্ঞ নন, সেহেতু ইভিএম নিয়ে খুব একটা কিছু বলতে পারেননি। নির্বাচনে এমপি, মন্ত্রীর প্রভাব, পেশীশক্তির প্রভাব ও কালো টাকার প্রভাব কতটা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে কতটা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন, সেগুলো নিয়েই আলোচনা করেছি। ওনারা আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন। আমরা আশ্বাস নিয়ে যাচ্ছি। তারা আমাদের দলগুলোকেও সহায়তা করার জন্য বলেছেন। আমরা সর্বোচ্চ সহায়তা করব। ইভিএমের গ্রহণযোগ্যতা তৈরি হলে আমরা গ্রহণ করব। এটার জন্য মানুষ এখনো প্রস্তুত নয়। প্রস্তুত কতটুকু করতে পারবেন, তা ওনাদের ওপর নির্ভর করবে। গ্রহণযোগ্যতা আনতে পারলে ইভিএম চাই। না হলে চাই না। যদি বুঝতে পারি ত্রুটিমুক্ত তাহলে অবশ্যই আমরা চাইব।

গত ১৭ জুলাই থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত ৩৯টি দলকেই সংলাপে আসার জন্য সময় দিয়ে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। তবে বিএনপিসহ নয়টি দল সংলাপে অংশ নেয়নি। ইসির আমন্ত্রণে সাড়া দিয়েছিল ৩০টি দল। এর মধ্যে দুটি দল (জেপি ও বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি) আসতে না পারার কারণ দেখিয়ে পরে সংলাপের জন্য সময় চেয়েছিল। অর্থাৎ ২৮টি দলের সঙ্গে আলোচনা করেছে নির্বাচন আয়োজনকারী সংস্থাটি।

যে ৯ দল সংলাপে অংশ নেয়নি : বাংলাদেশ মুসলীম লীগ-বিএমল, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি- এলডিপি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি- বিজেপি ও বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি। ২৮টি দল তিন শতাধিক প্রস্তাব দিয়েছে নির্বাচন কমিশনের কাছে। এর মধ্যে ১৬টি দল দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন ব্যবহার করার দাবি জানিয়েছে।