মূল পাতা আন্তর্জাতিক উপমহাদেশ বাবরি মসজিদ ভেঙে ফেলা সংক্রান্ত সব মামলা খারিজের সিদ্ধান্ত
এএস নাসিম 31 August, 2022 09:59 PM
১৯৯২ সালে অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ ধ্বংসের পরে উত্তর প্রদেশ রাজ্য এবং অন্যান্যদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার সমস্ত মামলা বন্ধ করে দিয়েছে ভারতীয় সুপ্রিম কোর্ট।
পাকিস্তানের প্রভাবশালী গণমাধ্যম ডনের প্রতিবেদন অনুসারে, সুপ্রিম কোর্টের অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে যে মামলা দায়েরকারী এবং বিবাদী উভয়ই মারা গেছে। এজন্য আদালত তিন দশকের পুরনো অযোধ্যায় সংগঠিত বিবাদের চূড়ান্ত রিটগুলো খারিজ করে দিয়েছে। আদালত জানিয়েছেন, জমি বিরোধের অন্তর্নিহিত মামলার সিদ্ধান্ত নিয়ে আদালত অবমাননার আবেদনটি বাতিল এবং অকার্যকর ঘোষণা করা হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্ট বার এবং বেঞ্চের বক্তব্য অনুসারে, বিচারপতি সঞ্জয় কিষাণ কৌল এবং অভয় এস ওকার এক বেঞ্চে বলেছেন, সুপ্রিম কোর্টের ২০১৯ সালের দেয়া রায়ের আলোকে আবেদনটি অকার্যকর হয়ে পড়েছে, যেখানে হিন্দু পক্ষগুলিকে অমীমাংসিত জমির মালিকানা দেওয়া হয়েছে। মৃত আবেদনকারীর পরিবর্তে বিকল্প হিসেবে মামলা পরিচালনা কারী ব্যক্তির আবেদনও খারিজ করে দেয় আদালত।
বাবরি মসজিদ সুরক্ষিত থাকবে বলে সুপ্রিম কোর্টকে দেয়া উত্তরপ্রদেশ সরকারের আশ্বাস সত্ত্বেও ১৯৯২ সালের ডিসেম্বরে এটি ভেঙে ফেলার মত গর্হিত অপরাধ সংগঠিত হয়। এটি ইউপি সরকারের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলার দিকে প্ররোচিত করে এবং ২০১৯ সালে সুপ্রিম কোর্ট অমীমাংসিত জায়গাটি হিন্দু ধর্মালম্বীদের কাছে হস্তান্তর করে।
২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে লখনৌর একটি বিশেষ সিবিআই আদালত বাবরি মসজিদ ধ্বংস মামলায় প্রাক্তন উপ-প্রধানমন্ত্রী এল কে আদভানি, উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কল্যাণ সিং, বিজেপি নেতা মুরলি মনোহর যোশী, উমা ভারতী এবং আরও কয়েকজনকে খালাস দিয়েছিলো। উক্ত রায়ে বলা হয়, সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন-সিবিআই মসজিদটি ভেঙে ফেলার দাবী করে এমন কোনো চূড়ান্ত প্রমাণ উপস্থাপন করতে ব্যর্থ হয়েছে। বিশেষ আদালত জানায়, মসজিদ ভাঙার কোনো ষড়যন্ত্র বা উস্কানি ছিল এমন কোনো শক্তিশালী প্রমাণ নেই।