মূল পাতা জাতীয় নির্বাচন কমিশন ৬১ জেলা পরিষদের ভোটগ্রহণ ১৭ অক্টোবর
রহমত ডেস্ক 23 August, 2022 06:26 PM
গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচন আগামী ১২ অক্টোবর এবং ৬১ জেলা পরিষদের ভোটগ্রহণ ১৭ অক্টোবর নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সভা শেষে কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ এ তথ্য জানান। তিনি জানান, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালটের পাশাপাশি ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনেও (ইভিএম) ভোট নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। কত আসনে এই পদ্ধতিতে ভোট হবে সেটি চূড়ান্ত না হলেও সংখ্যাটি দেড়শ’র বেশি হবে না।
ইভিএম নিয়ে আওয়ামী লীগের প্রধান রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি ও সমমনাদের, এমনকি গত নির্বাচনে আওয়ামী লীগের জোটসঙ্গী জাতীয় পার্টির আপত্তির মুখে এমন সিদ্ধান্ত হলো। তবে ৩০০টি সংসদীয় আসনের মধ্যে ১৫০ আসনে ইভিএমে ভোট নেয়া নির্বাচন কমিশনের পক্ষে কঠিন। তারা বিচার-বিশ্লেষণ করে দেখেছে, যদি নতুন মেশিন কেনা না হয়, তাহলে ১০০ আসনে ভোট করাই কঠিন হয়ে যায়। ৮০টির মতো আসনে ইভিএমে ভোট করার সক্ষমতা আছে তাদের।
এনিয়ে গত ২১ আগস্ট নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর ইসি ভবনে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, ইভিএম ব্যবহার হবে; কিন্তু কত আসনে হবে, তা নিয়ে আমরা এখনো সিদ্ধান্ত নিতে পরিনি। এটা নিয়ে আমরা মতবিনিময় করছি, আলোচনা করছি। আমাদের সক্ষমতা কী আছে, কত ইভিএম আছে, আমাদের প্রশিক্ষিত জনবল কত আছে, সাপোর্টিং জনবল কত আছে, এগুলো দেখছি, এগুলো দিয়ে কত আসনে ভোট করা যাবে। আর যদি বেশি করতে চাই, আরও কত (ইভিএম) লাগবে, তাতে কত টাকা লাগবে, এ জন্য নতুন প্রজেক্ট নিতে হবে কি না, সেই সময় আমাদের হাতে আছে কি না, প্রকিউরমেন্ট করতে, প্রশিক্ষণ দিতে, এসব নিয়ে আলোচনা চলছে।
বাংলাদেশের বিবদমান রাজনৈতিক বাস্তবতায় ভোটে ইভিএম ব্যবহার নিয়েও আছে বিভক্তি। আওয়ামী লীগ এবং সমমনারা ইভিএম চাইলেও বিএনপি এবং সমমনারা এর ঘোর বিরোধী। ইভিএমে ভোট করা নিয়ে গত জুনে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর মত নেয় নির্বাচন কমিশন। এই সংলাপ অবশ্য বিএনপি ও তার জোটের শরিকরা বর্জন করেছে। যারা আলোচনায় অংশ নিয়েছে, তাদের মধ্যে অর্ধেক এই যন্ত্র ব্যবহারের কথা বলেছে, বাকি অর্ধেক দল বলেছে এই যন্ত্র ব্যবহার করা উচিত হবে না। অন্যদিকে বিএনপি ও তার জোটের শরিকদের অবস্থান হলো, বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে তারা কোনো ভোটে অংশ নেবে না। তারা ইভিএম ব্যবহারেরও ঘোর বিরোধী। সেই হিসাবে ইভিএমের বিরোধিতাকারীর সংখ্যাই বেশি।