রহমত ডেস্ক 21 August, 2022 06:19 PM
বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল আইনের সংশোধিত খসড়া জনস্বার্থে প্রকাশের আহ্বান জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ-টিআইবি। একইসঙ্গে প্রচলিত চর্চা অনুযায়ী, আইনের সংশোধনীর খসড়াটি অংশীজন তথা গণমাধ্যম ও গণমাধ্যমকর্মীদের মতামত নিয়ে তা সমন্বয়ের পরামর্শ দিয়েছে টিআইবি। আজ (২১ আগস্ট) রবিবার টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জমান সংস্থাটির পক্ষে এমন আহ্বান জানিয়েছেন।
ইফতেখারুজ্জমান বলেন, ‘যেকোনো আইন প্রণয়ন ও সংশোধনের আগে তার খসড়া জনস্বার্থে প্রকাশ করা ও অংশীজনের মতামত গ্রহণ করা সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার অন্যতম পূর্বশর্ত। যা দেশে সাম্প্রতিক সময়ে প্রণীত প্রায় সব আইনের ক্ষেত্রে অনুসৃত হচ্ছে। কিন্তু প্রেস কাউন্সিলকে আরও শক্তিশালী করতে বিদ্যমান আইনের সংশোধিত খসড়া আইন অপ্রকাশিত রাখার পাশাপাশি অংশীজনকে, বিশেষ করে সম্পাদক পরিষদসহ বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠনকে দিতেও অপারগতা প্রকাশ করেছে প্রেস কাউন্সিল। যেহেতু আইনটির সঙ্গে সরাসরি গণমাধ্যম ও গণমাধ্যমকর্মীদের স্বার্থ, স্বাধীনতা ও মুক্ত গণমাধ্যমের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নীতি-নৈতিকতার বিষয়টি জড়িত, সেহেতু এই সংশোধনের প্রতিটি ধাপে এই অংশীজনদের অবহিত করার পাশাপাশি মতামত গ্রহণের পর তা সমন্বয় করা আবশ্যক।
তিনি আরো বলেন, ২০০৮ সাল থেকে বাংলাদেশের বিভিন্ন আইন প্রণয়ন বা সংশোধনের ক্ষেত্রে আইনের খসড়াটি পর্যলোচনা, মতামত সংগ্রহ ও অবহিতকরণের জন্য জনস্বার্থে তা প্রকাশ করে আসছে সরকার। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার একটি শক্তিশালী উদাহরণ হিসেবে এই অনুশীলন যখন সব আইনের ক্ষেত্রেই দেখা যায়, তখন প্রশ্ন ওঠে-প্রেস কাউন্সিল আইনের সংশোধনীর খসড়াটি কেন জনস্বার্থে প্রকাশ করা হবে না? এই গোপনীয়তার চর্চার মাধ্যমে দেশের আইন প্রণয়ন ও সংশোধন প্রক্রিয়ার প্রচলিত রীতিকে উপেক্ষার মাধ্যমে স্বেচ্ছাচারিতার নজির সৃষ্টি হয়েছে। পাশাপাশি গণমাধ্যম ও সাংবাদিকদের স্বার্থ ও স্বাধীনতা রক্ষার চেয়ে নিয়ন্ত্রণের জন্য ব্যবহার করার উদ্দেশ্যে প্রেস কাউন্সিল এই গোপনীয়তার আশ্রয় নিচ্ছে কি না-এ প্রশ্ন উত্থাপিত হওয়া যৌক্তিক। তাই দেশের প্রচলিত চর্চার প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে আইনের খসড়া অনলাইনে অবমুক্তকরণে উদ্যোগী হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে টিআইবি।