মূল পাতা শিক্ষাঙ্গন ৭ মাসে কুরআন হিফজ করে কিশোরগঞ্জের ৩ ছাত্রীর চমক
রহমত ডেস্ক 18 August, 2022 06:37 PM
মাত্র সাড়ে ছয় ও সাত মাসে পবিত্র কোরআন মুখস্থ করে হাফেজা হয়েছেন কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার ‘দারুল উলুম আমিনা’ নামে এক মহিলা মাদরাসার তিন ছাত্রী। ওই তিন ছাত্রী হলেন- জান্নাতুন্নুর নিলা (৯)।কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার জাঙ্গালিয়া এলাকার সৌদি প্রবাসী সিদ্দীক আহমদের মেয়ে। সামিয়া বুশরা (১০)। জেলার হোসেনপুর উপজেলার গোবিন্দপুর এলাকার সৌদি প্রবাসী আব্দুল্লাহর মেয়ে। মারিয়া ইসলাম (১৩)। একই উপজেলার উত্তর গোবিন্দপুর এলাকার হাফেজ নূরুল ইসলামের মেয়ে।
জানা গেছে, সামিয়া বুশরার কোরআন হেফজ করতে সময় লেগেছে মাত্র সাড়ে ছয় মাস। জান্নাতুন্নুর নিলা ও মারিয়া ইসলামের কোরআন হেফজ করতে সময় লেগেছে মাত্র সাত মাস। এমনও ঘটেছে যে বুশরা একদিনে দু্ই পাড়া ও মারিয়া এক পাড়া সবক দিয়েছেন।
হোসেনপুরের দারুল উলুম আমিনা মহিলা মাদরাসার প্রিন্সিপাল মুফতি মাহমুদ হাসান জানান, ওই তিন শিক্ষার্থী তাদের মেধা ও কঠোর পরিশ্রমে তা সম্ভব করেছে। স্বাভাবিকভাবে অন্যদের তিন/চার বছর বা কোনো কোনো ক্ষেত্রে আরও বেশি সময় লেগে যায়, সেখানে বুশরা, নিলা ও মারিয়া অল্প সময়ে পুরো কোরআন মুখস্থ করেছে। আমাদের মাদরাসার ইতিহাসে সাড়ে ছয় ও সাত মাসে শুধু এই তিনজন শিক্ষার্থীই কুরআন হিফজ করেছে, এখনো অন্য কেউ তা করতে পারেনি। ২০১৪ সালে আমি এই মাদরাসাটি নিজে প্রতিষ্ঠা করেছি। ২০১৯ সাল থেকে হেফজ বিভাগ চালু করেছি। বর্তমানে মাদরাসায় হিফজ, নূরানী ও কিতাব বিভাগ চালু রয়েছে। সব মিলিয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৩০০ জন। ১১ জন মহিলা শিক্ষক ও আটজন পুরুষ শিক্ষক কর্মরত রয়েছেন। এছাড়াও মাদরাসায় চারজন কর্মচারী কাজ করছেন।
তিনি আরো বলেন. মাদরাসায় অনেক শিক্ষার্থী থাকলেও ভালোভাবে পড়াশোনা করার সুবিধার্থে আমরা হেফজ বিভাগে মাত্র ১৬ জন শিক্ষার্থী নিয়ে থাকি। দারুল উলুম আমিনা মহিলা মাদরাসার আরো কিছু শিক্ষার্থী স্বল্প সময়ে কুরআন হিফজ সম্পন্ন করেছেন। এদের মধ্যে হাফিজা নুদরা কারীমা ১৪ মাসে, হাফিজা মারিয়াম সুমাইয়া ১৫ মাসে এবং হাফিজা সাকিবা আমাতুন্নুর আড়াই বছরে হিফজ শেষ করে। যারা পবিত্র কুরআন মুখস্ত করেছে আমি তাদের সার্বিক সফলতা কামনা করছি। আল্লাহ তায়ালা তাদের দ্বীনের জন্য কবুল করুন।