রহমত ডেস্ক 18 August, 2022 08:38 PM
জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যার তদন্ত চেয়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, সরকারকে একটি আলাদা কমিশন গঠন করে গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যার ঘটনাগুলো তদন্ত করার সুপারিশ করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল ব্যাচেলেট। তাদের দেওয়া বিবৃতিতে যা উঠে এসেছে সেটা আমরা দীর্ঘদিন ধরেই বলে আসছি। আমরা জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে স্বাধীন তদন্ত চাই, জড়িতদের বিচার চাই। আজ (১৮ আগস্ট) বৃহস্পতিবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ওবায়দুল কাদের বলেছেন, গুম অপহরণের বিচার করার ক্ষমতা জাতিসংঘের নেই। এ বক্তব্যে তিনি স্বীকার করে নিয়েছেন, এগুলো সংঘটিত হয়েছে। এতেই বোঝা যায় এই ঘটনাগুলো ঘটেছে। নেত্র নিউজের প্রতিবেদনে আরও বেশি প্রমাণিত হয়েছে। বিশৃঙ্খল করলে বিএনপিকে রাজপথে মোকাবিলা করা হবে, এমন হুমকি সন্ত্রাসের শামিল। এত দিন গুম-খুনের বিষয়ে বিএনপি যে কথাগুলো বলে আসছে, তারই প্রমাণ মিলেছে জাতিসংঘ মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের মন্তব্যে। এটাই দেশের বাস্তবতা।
তিনি বলেন, সংলাপের কোনো পরিবেশ নেই, দেশের রাজনৈতিক সংকট সমাধানে খালেদা জিয়ার মুক্তি না হওয়া পর্যন্ত কোনো সংলাপ হতে পারে না। যতক্ষণ পর্যন্ত এই সরকার পদত্যাগ না করবে, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর না করবে, সংসদ বিলুপ্ত না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত সংলাপের প্রশ্নই ওঠে না। ‘যে বুলেট শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানাকে এতিম করেছে, খালেদা জিয়া আপনাকেও সেই বুলেট ছাড়বে না’ এটা তো ভয়ংকর কথা, এই বুলেটের কথা যদি তিনি বলে থাকেন তাহলে আমরা সন্দেহ হয়, হয়ত তিনিও এ চক্রান্তের সঙ্গে জড়িত আছেন। খালেদা জিয়াকে তারা রাজনীতি থেকে সরিয়ে দিতে চায়। এবার জীবন থেকে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে কিনা সেই প্রশ্ন আসে। তাকে এটার অবশ্যই জবাব দিতে হবে।
তিনি আরো বলেন, গণমাধ্যমের সংবাদ প্রকাশের পর ম্যাডামের চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলেছি আমি। তারা জানিয়েছেন খালেদা জিয়া ভালো আছেন। তার প্রতিটি পরীক্ষার রিপোর্ট ভালো। টেস্টে কোনো সমস্যা নেই। এখন পর্যন্ত তিনি হাসপাতাল থেকে যেমন এসেছিলেন তেমনি আছেন। এমনিতেই তো তিনি অসুস্থ। তারপরেও এমন কোনো ব্যাপার নেই যে তাকে এখনই হাসপাতালে নিতে যেতে হবে। খালেদা জিয়ার অসুস্থতার কথা ছাড়ানোর কারণ রয়েছে, জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার বক্তব্যে ঢাকা দিতে আরেকটা ইস্যু তৈরির উদ্দেশ্য ছিল। এগুলো তাদের বহু পুরানো খেলা।