রহমত ডেস্ক 16 August, 2022 12:51 AM
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বৈশ্বিক জ্বালানি বাজারে যে ঊর্ধ্বমুখী মূল্য তার কারণে বাংলাদেশও ভুক্তভোগী। তবে এটা সাময়িক সময়ের জন্য। সাধারণ মানুষের ভোগান্তি কমাতে শেখ হাসিনার সরকার কাজ করছে, এ বছরের শেষ নাগাদ বৈশ্বিক পরিস্থিতি ভালো হলে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির মূল্য সহনীয় পর্যায়ে চলে আসবে।
মঙ্গলবার (১৬ আগষ্ট) বিকালে বিদ্যুৎ বিভাগ এবং জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের আয়োজনে ‘জাতীয় শোক দিবস’ উপলক্ষ্যে ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত উন্নয়নে বঙ্গবন্ধুর অবদান’ শীর্ষক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে মুখ্য আলোচক হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। ‘সরকার সাধারণ মানুষের ভোগান্তি কমাতে কাজ করছে’জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মাহবুব হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে জাতীয় সংসদের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ওয়াসিকা আয়শা খান, বিদ্যুৎ সচিব মো. হাবিবুর রহমান, বিপিসি’র চেয়ারম্যান এ বি এম আজাদ, পিডিবি’র চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুর রহমান, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান নাজমুল আহসান ও পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসাইনসহ দপ্তরসমূহের প্রধানগণ সংযুক্ত ছিলেন।
বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাহস ও দূরদর্শিতা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে কাজ করলে দ্রুত কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছবে বাংলাদেশ। রূপকল্প ২০৪১ নির্ধারিত সময়ের আগেই বাস্তবায়ন করতে বঙ্গবন্ধুর দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে যার যার অবস্থান থেকে কাজ করতে হবে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে যারা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করেছিল সেই সব সামরিক স্বৈরশাসকরা বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের দিকে কোনো নজর দেননি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে যখন রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসলেন তখন থেকেই ভঙ্গুর বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করে।বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ১৯৯৬ সালে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় এসেই বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য বেসরকারি খাতকে উন্মুক্ত করে দিয়েছিলেন। যার ফলে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি খাতও এখন বিদ্যুৎ উৎপাদনে অবদান রাখতে পারছে।