রহমত ডেস্ক 04 August, 2022 03:23 PM
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমেদ বলেছেন, মালয়েশিয়া প্রস্তুত, আমরাও প্রস্তুত। কিন্তু সেদেশে পাঠানোর মতো পর্যাপ্ত কর্মী পাচ্ছি না। আমরা ১৩টি এজেন্টের মাধ্যমে এরইমধ্যে ২২০০ জনকে অনুমতি দিয়েছি। কিন্তু আমরা আরও বেশি বেশি করে কর্মী মালয়েশিয়ায় পাঠাতে চাই। যারা লোক পাঠায় এটা তাদের জিজ্ঞেস করুন। তবে আমরাও এ বিষয়ে জানাতে চাইবো, কেন তারা পর্যাপ্ত কর্মী প্রস্তুত করতে পারছেন না। আমরা খবর নেবো এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাও নেবো।
আজ (৪ আগস্ট) বৃহস্পতিবার নগরীর প্রবাসী কল্যাণ ভবনের বিজয় ৭১ মিলনায়তনে ‘প্রবাসী কর্মীর মেধাবী সন্তানদের শিক্ষাবৃত্তির চেক বিতরণ’ অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় আরও বক্তব্য রাখেন- মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন প্রমুখ।
প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী বলেন, মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার আমাদের তরফ থেকে পুরোপুরি খোলা। তারপরও সেদেশে পাঠানোর কর্মী সংকট দেখা যাচ্ছে। মানুষ যাচ্ছে না, কারণ অন্য তরফ থেকে জিনিসটা এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে না। যাহোক, এখানে কোনো সমস্যা থাকলে আমরা দেখবো। যেন মানুষ মালয়েশিয়ায় যেতে আগ্রহী হয়। মালয়েশিয়া সরকারের কিন্তু বিভিন্ন খাতে শ্রমিক দরকার। অনেকে উচ্চতর ডিগ্রি নিয়েও বেকার বসে আছেন, চাকরি নেই। অথচ তারাই যদি নার্সিংয়ে ঢুকতো তবে চাকরির অভাব হতো না। ভোকেশনাল পাস করে স্ক্রু ড্রাইভার কিভাবে চালাতে হয় এটা শিখলেও কিন্তু চাকরির অভাব নেই। আজকে জাপানে ছেলেমেয়েরা বয়স্কদের সেবক হিসেবে চাকরি করছে। তাদের বেতনও কিন্তু দুই থেকে আড়াই লাখ টাকা। কিন্তু আমরা এভাবে চিন্তা করি না। আমরা আগে চাকরিটা পেয়ে যেতে চাই।
তিনি আরো বলেন, সৌদি আরবে কাজের বিরাট সুযোগ আছে। দেশে লাখ লাখ মাদরাসা আছে, কিন্তু আরবি ভাষা শেখানো হয় না। কেউ আরবি ভাষা শেখায় না। অথচ সবাইকে কোরআন শরিফের হাফেজ বানিয় দেয়। এটা কিন্তু সৌদিতে চলে না। মাদরাসাগুলোর দায়িত্ব আরবি ভাষা শেখানো, কিন্তু এটা হয় না। মাদরাসাছাত্ররা সৌদি ভাষা জানলে চাকরি ছেড়ে দেশে ফিরে আসতো না। সৌদিতে যিনি ৮০০-৯০০ রিয়াল বেতন পান, আরবি জানা থাকলে তার বেতন হতো ১২০০-১৪০০ রিয়াল। এখানে ভাষাগত কমিউনিকেশনের একটা বিরাট গ্যাপ আছে।