| |
               

মূল পাতা জাতীয় অর্থনীতি পুঁজিবাজারে আসতে হলে ১০ শতাংশ শেয়ার ছাড়তে হবে


পুঁজিবাজারে আসতে হলে ১০ শতাংশ শেয়ার ছাড়তে হবে


রহমত ডেস্ক     04 August, 2022     04:48 PM    


বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন-বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেছেন, যেসব স্টার্টআপ কোম্পানির অ্যাকাউন্স ও গ্রোথ ভালো তাদের আইনের ফাঁকফোকর দিয়ে হলেও পুঁজিবাজার থেকে অর্থায়নে সাহায্য করব। এক্ষেত্রে যোগ্যরাই সুযোগ পাবে। অযোগ্যদের সুযোগ দিয়ে পরিবেশ নষ্ট করব না। তবে কোম্পানিগুলোকে ন্যূনতম ১০ শতাংশ শেয়ার ছাড়তে হবে। দুষ্টু লোকদের পুঁজিবাজারে আসতে দেবো না।

আজ (৪ আগস্ট) বৃহস্পতিবার রাজধানীর নিকুঞ্জের ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ-ডিএসই ভবনে ‘ক্যাপিটাল মার্কেট অব বাংলাদেশ প্রসপেক্টস অ্যান্ড অপরচুনিটিস ফর টেক স্টার্টআপ অ্যান্ড গ্রোথ স্টেজ কোম্পানিজ’ শীর্ষক সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে-ডিএসই চেয়ারম্যান ইউনুসুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএইসির কমিশনার অধ্যাপক ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ। এর আগে এক অনুষ্ঠানে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার লক্ষ্যে ডিএসই ব্যবস্থাপনা পরিচালক তারিক আমিন ভূঁইয়া ও স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাদি আহমেদ একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেন।

বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, স্টার্টআপ কোম্পানিকে সহযোগিতা করলে যদি দেশ লাভবান হয়, তাহলে কেন সহযোগিতা করব না। তবে এ জাতীয় কোম্পানিগুলোকে পুঁজিবাজারে আসতে চাইলে কমপক্ষে ১০ শতাংশ শেয়ার ইস্যু করতে হবে। তা না হলে পুঁজিবাজার থেকে অর্থ উত্তোলনের সুযোগ দেবো না। প্রয়োজনে স্টার্টআপ কোম্পানিগুলোর জন্য নতুন বোর্ড গঠন করা বিবেচনা করা হবে। অন্যান্য কোম্পানির মতোই স্টার্টআপের উদ্যোক্তাদেরও ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে জামানত রাখতে হয় কিংবা মর্টগেজ রাখতে হয়। কিন্তু স্টার্টআপ কোম্পানিগুলো নতুন জেনারেশনের মানুষ। তাদের মেধা ও নতুন নতুন আইডিয়া জাতীয় স্বার্থে সহযোগিতা করে।

তিনি আরো বলেন, কোনো কোম্পানির অর্থ উত্তোলনের সুযোগ দেওয়ার ক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীদের দিকটিও দেখতে হয়। তাই সবকিছু কোম্পানি কর্তৃপক্ষের মনের মতো নাও হতে পারে। এটি কাউকে নিরুৎসাহিত করার জন্য না করি না। কারণ, আমাদের কোম্পানির পাশাপাশি বিনিয়োগকারীদের স্বার্থের দিকটিও বিবেচনা করতে হয়।  আমরা আশা করি স্টার্টআপ কোম্পানিগুলো এক সময় বড় হবে। এরা তখন এসএমই বোর্ডে যাবে। পরে সেখান থেকে মূল বোর্ডে যাবে। তবে কতদিন পর এই স্থানান্তর হবে, তা নির্ভর করবে কোম্পানিগুলোর পারফরম্যান্সের ওপর।