ভোলার ঘটনা সরকারের দুঃশাসনেরই বহিঃপ্রকাশ : এনপিপি

সারাদেশে নজীরবিহীন লোডশেডিং ও জ্বালানি খাতে অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে ভোলায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ কর্মসূচিতে পুলিশ বেপরোয়া হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে ন্যাশনাল পিপলস পার্টি-এনপিপি চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ ও মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা।

আজ (৩১ জুলাই) রবিবার এক বিবৃতিতে তারা এসব কথা বলেন। প্রসঙ্গত, দেশব্যাপী জেলায় জেলায় কেন্দ্র ঘোষিত প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ-সমাবেশের অংশ হিসেবে ভোলায়ও রোববার এই কর্মসূচি পালন করে জেলা বিএনপি। এতে পুলিশের গুরিতে নহিত হয়েছেন স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আব্দুর রহিম।

তারা  বলেন, পুলিশের গুলিতে ভোলা সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আব্দুর রহিম নিহত ও বিএনপির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এ বি এম মোশাররফ হোসেন, ছাত্রদল নেতা আলামিন এবং বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের শতাধিক নেতাকর্মী গুরুতর আহত হয়েছেন। পাশাপাশি ঝালকাঠিসহ দেশের আরও কয়েক স্থানে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ কর্মসূচিতে পুলিশ ঘৃণ্য হামলা চালিয়ে অনুষ্ঠান পণ্ডসহ নেতাকর্মীদের আহত করেছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর এ ধরনের ন্যাক্কারজনক ঘটনার আমরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আওয়ামী লীগ সরকার এখন নিজেদের পতন আঁচ করতে পেরেই মরণ কামড় দিতে শুরু করেছে।

তারা আরো বলেন, সরকার জনগণের সঙ্গে ভাওতাবাজী, অসত্য বক্তব্য এবং বিরোধী দলের জীবন হরণের কর্মসূচিতে লিপ্ত রয়েছে। একদিকে সরকার সভা-সমাবেশে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও দলীয় ক্যাডারদের লেলিয়ে দিয়ে বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদেরকে হত্যা ও আহত করছে। অন্যদিকে আবার নিজেদেরকে গণতন্ত্রী বলে দাবি করছে। সরকারের এই দ্বিচারিতা জনগণের কাছে সুষ্পষ্ট। মূলত এই সরকার মানবাধিকার, বাকস্বাধীনতা তথা জনগণের দুশমন। ভোলা ও ঝালকাঠিসহ দেশের কয়েক স্থানে পুলিশের হামলা এবং ভোলায় স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আব্দুর রহিমকে হত্যাসহ অসংখ্য নেতাকর্মীকে গুরুতর আহতের ঘটনা সরকারের অমানবিক দুঃশাসনেরই বহিঃপ্রকাশ।