রহমত ডেস্ক 25 July, 2022 02:16 PM
প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আপনি চায়ের দাওয়াত দিচ্ছেন। আমরা ঘেরাও করতে গেলে আপনি চা খাওয়াবেন। হঠাৎ আপনার গলার স্বর এভাবে নিন্মগামী হলো কেন? অদ্ভুদ ব্যাপার। আপনার গলার স্বর যখন ক্ষীণ হয় তখন বুঝতে হয় বিরোধী দলের ওপর হয়তো আরও ভয়ঙ্কর নির্যাতন নিপীড়ন নেমে আসছে। প্রধানমন্ত্রীর চায়ে ধুতুরার ফুল থাকবে না হেমলকের রস থাকবে তা জনগণ জানতে চায়।
আজ (২৫ জুলাই) সোমবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সারা দেশের মসজিদসহ বাসা বাড়ীতে বিদ্যুতের চরম সংকট এবং বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনায়ক তারেক রহমানের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ নেতার অশালিন বক্তব্যের প্রতিবাদে জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ওলামা দলের সদস্য সচিব মাওলানা নজরুল ইসলাম তালুকদারের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, সহপ্রচার সম্পাদক শামীমুর রহমান শামীম, নির্বাহী কমিটির সদস্য অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম, তাঁতী দলের আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ, মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব আবদুর রহিম প্রমুখ।
রিজভী বলেন, আপনি এর আগেও বিএনপির নেতাদের বলেছিলেন, আপনারা মামলার কাগজপত্রগুলো পাঠান। এরপরে আমরা দেখেছি আরো ব্যাপকভাবে মামলা দিয়েছেন। বিএনপির যে নেতা মারা গেছেন সেই লাশের নামে, যিনি হজ করতে গেছেন তার নামে। যিনি হাসপাতালে চিকিৎসারত আছেন তার নামে। আমার খায়রুল কবির খোকন ঠিকই বলেছেন, এ চায়ের দাওয়াতে আবার কি আছে? ওই চায়ের মধ্যে ধুতুরার ফুল থাকবে নাকি হেমলকের রস থাকবে? আপনারা জানেন হেমলকের রস পান করিয়ে প্রাচীন গ্রীকের একজন দার্শনিককে হত্যা করা হয়েছিল। মানুষের আজকে প্রশ্ন বিরোধী দলের নেতাদেরকে ডেকে শেখ হাসিনা কি খাওয়াবেন। চায়ের মধ্যে কি দেবে, ধুতুরার ফুল নাকি হেমলকের রস।
তিনি আরো বলেন, আজকের প্রতিবাদ সমাবেশে কেন, মসজিদে সরকার বিদ্যুৎ দেবে না। মসজিদে নামাজ পড়তে ১০-১৫ মিনিট লাগে। অথচ সেখানে বিদ্যুৎ দেবে না। কিন্তু অন্যান্য অপ্রয়োজনীয় জায়গায় দেবে। ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে থাকবে, নাইট ক্লাবে থাকবে। সবজায়গায় থাকবে। এর প্রতিবাদে ওলামা দল প্রতিবাদ সমাবেশ করছে। এর সঙ্গে আমাদের নেতা তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সরকারের লোকজন যেভাবে কদাচার, কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করছেন, সেটারও প্রতিবাদ তারা করছেন।