| |
               

মূল পাতা জাতীয় অর্থনীতি ‘অর্থ পাচার রোধে সরকার শক্ত কোনো ব্যবস্থা নেয় না’


‘অর্থ পাচার রোধে সরকার শক্ত কোনো ব্যবস্থা নেয় না’


রহমত ডেস্ক     24 July, 2022     10:22 AM    


অর্থ পাচারকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, আগে খেলাপি ঋণ ২২ হাজার কোটি টাকা ছিল। এখন তা ১ লাখ ২৫ হাজার কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। এটা কী করে সম্ভব? চট করে ছয় থেকে সাত গুণ খেলাপি ঋণ বেড়ে যাবে? টাকা পাচার কারা করে, সেটি নীতিনির্ধারকেরা ভালো করেই জানেন। কিন্তু অর্থ পাচার রোধে সরকার শক্ত কোনো ব্যবস্থা নেয় না।

শনিবার (২৩ জুলাই) রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে নাগরিক ঐক্য আয়োজিত ‘বর্তমান সংকট, দায় এবং সমাধান’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। জ্বালানি বিশেষজ্ঞ বি ডি রহমত উল্লাহ, নাগরিক ঐক্যের যুগ্ম আহ্বায়ক জাহেদ উর রহমান বক্তব্য রাখেন।

সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, অর্থনীতির সব সূচক ভালো থাকার পরও শ্রীলঙ্কার দ্রুত পতনের পেছনে দায়ী গোষ্ঠীতন্ত্র। তারা গোষ্ঠীতন্ত্র তৈরি করেছিল। সময়মতো সঠিক পদক্ষেপ নেয়নি। শ্রীলঙ্কার সফল একজন গভর্নর পদত্যাগ করেছেন। কারণ সরকার গভর্নরের কোনো কথাই শোনেনি। সেখানে যা কিছু করেছে, রাজা–বাদশাহরা করেছেন। তারা যা করতে বলেছেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংক তা–ই করেছে। আমরা শ্রীলঙ্কার কাছ থেকে শিক্ষা নেব। তারা সময়মতো সমস্যাগুলো অ্যাড্রেস করেনি। অনেক দিন থেকে তাদের সমস্যা ছিল। শ্রীলঙ্কায় অনেক বুদ্ধিমান মানুষ আছেন, অনেক বিজ্ঞ লোক আছেন। তাঁদের কথা শ্রীলঙ্কার সরকার শোনেনি।

নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, আমাদের মূল সংকট ডলার পাচার। আপনাদের মনে থাকতে পারে, একজন মন্ত্রী সংসদে বলেছিলেন, আমাদের রাজনীতিবিদদের চেয়ে আমলাদের বেগমপাড়ায় বেশি বাড়ি আছে। সংসদে খোদ প্রধানমন্ত্রীও এ কথা বলেছিলেন। কারা বিদেশে টাকা পাচার করেন, সেটি তিনি জানেন। তখন আমিসহ অনেকে বলেছিলাম, জানেন যদি তাহলে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। কিন্তু কোনো কিছু তাঁরা করেননি। এত দিন পর যদি আমরা বলি, আপনারা টাকা পাচারকারীদের পালেন।

লিখিত বক্তব্যে মান্না বলেন, বিদ্যুতের চরম সংকটকে পুঁজি করে সরকার তার কিছু গোষ্ঠীর হাতে অকল্পনীয় পরিমাণ টাকা তুলে দিতে কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের মেয়াদ ২ বছর থেকে ১৬ বছর বাড়িয়েছে। গত ১০ বছরে শুধু ক্যাপাসিটি চার্জ দেওয়া হয়েছে ৭০ হাজার কোটি টাকা। আর তিন বছরে বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রের ক্যাপাসিটি চার্জ পরিশোধ করা হয়েছে ৪২ হাজার কোটি টাকা। আমরা চাই বা না চাই, বাংলাদেশের পরিস্থিতি এখন আন্তর্জাতিক আলোচনার বিষয়ে পরিণত হয়েছে। বিশ্বের আরও কয়েকটি দেশে শ্রীলঙ্কার সংকট হতে পারে বলে কয়েক দিন আগেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএফএফ) প্রধান ক্রিস্টালিনা জর্জিভা। এর সূত্র ধরে বিবিসি কিছু ঝুঁকিপূর্ণ দেশের তালিকা বানিয়েছে। ওই তালিকায় পাকিস্তান, লাওস, মালদ্বীপের সঙ্গে বাংলাদেশও আছে। বাংলাদেশের রিজার্ভ কাগজে–কলমে ৩২ বিলিয়ন ডলার আছে, যা বর্তমান আমদানির পরিমাণের হিসাবে মাত্র চার মাসের আমদানি ব্যয় মেটাতে পারবে।