| |
               

মূল পাতা রাজনীতি ইসলামী দল ইসলাম, দেশ ও মানবতার চরম ক্রান্তিকাল চলছে: মুফতী ফয়জুল করীম


ইসলাম, দেশ ও মানবতার চরম ক্রান্তিকাল চলছে: মুফতী ফয়জুল করীম


রহমত ডেস্ক     23 July, 2022     07:37 PM    


ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেছেন, ইসলাম, দেশ ও মানবতার চরম ক্রান্তিকাল চলছে। ইসলামবিদ্বেষী চক্রগুলো বিভিন্নভাবে ইসলামকে কলঙ্কিত করতে একসাথে কাজ করছে। সেই ধারাবাহিকতায় নড়াইলের লোহাগাড়ায় কলেজ ছাত্র কর্তৃক ফেসবুকে মহানবী সা. কে অবমাননা করে স্টেটাস দেয়া এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বাড়িঘরে হামলা করে বিরাজমান সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে অনন্য দৃস্টান্তকারী বাংলাদেশের ভাবমূর্তি বহির্বিশ্বে ক্ষুন্ন করার চেষ্টা করছে। ষড়যন্ত্রকারীরা নড়াইলে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বাড়িতে কাপুরুষোচিত মানবতাবিরোধী হামলার ঘটনা ঘটিয়ে চলমান সম্প্রীতি বিনষ্ট করার চক্রান্ত করছে। এ ধরণের হামলা ও ভাঙচুর কোনভাবেই ইসলাম সমর্থন করে না। এটা ইসলামের সার্বজনীন আদর্শবিরোধী কাজ।

আজ (২৩ জুলাই) শনিবার বিকেলে পেশাজীবী সংগঠন জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ বগুড়ার নন্দিগ্রাম উপজেলা শাখা আয়োজিত ওলামা সম্মেলন ও ইসলাহী মজলিসে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। স্থানীয় একটি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ওলামা সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন নায়েবে আমীর আল্লামা আব্দুল হক আজাদ। বক্তব্য রাখেন বরেণ্য আলেম মাওলানা আব্দুল মতিন, মাওলানা আব্দুল হান্নান, হাফেজ মাওলানা সুলাইমান, মুফতীমতিউর রহমান, মুফতী নাজমুল হক, মাওলানা ইসমাইল হোসাইন প্রমুখ।

মুফতী ফয়জুল করীম বলেন, নড়াইলের লোহাগাড়ার কলেজ ছাত্র আকাশ সাহা কর্তৃক ফেসবুকে মহানবীকে কটুক্তি করে অবমাননা ও সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর একই সূতোয় গাঁথা। তিনি আরো বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের অবমাননা ও সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার স্ক্রিপট কারা তৈরি করে ইসলাম ও দেশবিরোধী এ ন্যাক্কারজনক ঘটনার পেছনে কলকাঠি নাড়ছে তাদেরকে খুঁজে বের করতে হবে। কেননা বরাবরই এ ধরনের হামলার সাথে জড়িতদের মিডিয়ার সামনে আনা হয় না। ফলে কারা এ ধরনের অপকর্ম করছে, দেশবাসী তা জানতে পারছে না।

তিনি বলেন, সরকারের নতজানু পররাষ্ট্র নীতির কারণেই ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর প্রধান এসে বলে যেতে পারে যে, সীমান্তে যারা মারা যাচ্ছে তারা দৃষ্কৃতিকারী। বন্ধুত্বের নামে এই আধিপত্যবাদী ধৃষ্টতা প্রদর্শন করলেন ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর প্রধান, তাও আবার বাংলাদেশের পিলখানায় বসে। এধরনের বক্তব্যের প্রতিবাদ না করা আমাদের জন্য চরম লজ্জার। সরকার ভারতের তাঁবেদারি করে দেশের মান মর্যাদা জলাঞ্জলি দিচ্ছে।