| |
               

মূল পাতা রাজনীতি আওয়ামী লীগ ‘বিএনপি হতাশাবাদী রাজনৈতিক দলে পরিণত হয়েছে’


‘বিএনপি হতাশাবাদী রাজনৈতিক দলে পরিণত হয়েছে’


রহমত ডেস্ক     22 July, 2022     06:11 PM    


বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, জনগণকে আস্থায় রাখতে না পেরে বিএনপি একটি হতাশাবাদী রাজনৈতিক দলে পরিণত হয়েছে। তাই বিএনপি নেতৃবৃন্দ প্রতিনিয়ত নিরাশার গল্প শুনিয়ে জাতির সঙ্গে তামাশা করছে। তারা খুব সচেতনভাবেই এটি করছে যাতে করে মানুষ আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়ে; সামাজিক শৃঙ্খলা বিনষ্ট হয়। একই সাথে তারা জনগণকে বিভ্রান্ত করে সরকারবিরোধী মনোভাব তৈরির পাঁয়তারা করছে। প্রকৃতপক্ষে, হীন রাজনৈতিক স্বার্থ উদ্ধারের অপচেষ্টায় শান্তি প্রিয় মানুষকে আত্মঘাতী করে তোলার মতো দূরভিসন্ধি বিএনপির অর্বাচীন রাজনীতির পরিচায়ক। করোনা মহামারির অভিঘাতের মধ্যেই ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ সারা বিশ্বকে এক সংকটের মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছে। এ ধরনের সংকট মোকাবিলায় গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থায় সকল রাজনৈতিক দল দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করে থাকে। কিন্তু বাংলাদেশে বিএনপি নামক রাজনৈতিক অপশক্তিটির কাছ থেকে জাতি কখনো দায়িত্বশীল কোন আচরণ পায়নি। বরং তারা সব সময়ই সংকটময় মূহুর্তে জাতির ঐক্যের দুর্গে হানা দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা চালিয়ে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের পাঁয়তারা করে।  আজ (২২ জুলাই) শুক্রবার বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপি নেতৃবৃন্দের মিথ্যাচার, উস্কানিমূলক ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাতে গণমাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন। 

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নেতৃবৃন্দ কথায় কথায় বাংলাদেশকে শ্রীলংকার সঙ্গে তুলনা করে দেশের জনগণের আত্মবিশ্বাস ক্ষুন্ন করতে চায়। তারা দেশের স্বপ্ন বাস্তবায়ন প্রয়াসী জনগোষ্ঠীর সামনে বিভ্রান্তির ধোঁয়া ছড়িয়ে নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিল করতে চায়। অথচ সচেতন ব্যক্তি মাত্রই জানেন, দুই দেশের অর্থনীতির মৌলিত্তিই ভিন্ন। বাংলাদেশ ও শ্রীলংকাকে সমান্তরালে রেখে তুলনা করার কোন সুযোগ নেই। তারা মূল্যস্ফীতি নিয়ে কথা বলছে। মূল্যস্ফীতি হলে জনগণের উক ভিপর চাপ বাড়ে একথা সত্য। সেদিক বিবেচনায় রেখে সরকার মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। তবে ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতা গ্রহণ করে তখন মূল্যস্ফীতি ছিল ১২.৩ শতাংশ। গত এক যুগের বেশি সময় ধরে শেখ হাসিনা সরকার সেই মূল্যস্ফীতির হার নিয়ন্ত্রণ করে ৫ থেকে ৬ শতাংশের মধ্যে রাখে।

তিনি বলেন, বৈশ্বিক এই সংকটের মধ্যেও বাংলাদেশের অবস্থান তুলনামূলকভাবে ভালো রয়েছে। ঠিক যেমনটি করোনাকালেও ছিল। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গবেষণায় যেসব রিপোর্ট উঠে এসেছে সেখানে বাংলাদেশের অবস্থান যথেষ্ট ভালো। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার সুদক্ষ ব্যবস্থাপনা ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বে সরকার সময়োপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। ২০০৮ সালে নির্বাচনের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যখন আওয়ামী লীগ ক্ষমতাসীন হয় তখনও সারা বিশ্বে অর্থনৈতিক মন্দা চলছিল। কিন্তু বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার সফল রাষ্ট্রনায়কোচিত ভূমিকার কারণে বাংলাদেশের উপর সেই মন্দার প্রভাব পড়ে নাই। শেখ হাসিনা মানেই সংকটকে সম্ভাবনায় রূপ দানের নেতৃত্ব। শেখ হাসিনা মানেই দুর্যোগে সুযোগ সৃষ্টির কারিগর। গত এক যুগেরও বেশি সময় ধরে ধারাবাহিকভাবে দেশের জনগণ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সকল সংকট সফলভাবে মোকাবিলা করেছে। অথচ সংকট মোকাবিলায় জনগণের ঐক্যবদ্ধ প্রয়াসকে নস্যাৎ করতে বিএনপি নেতৃবৃন্দ প্রতিনিয়ত নির্লজ্জ মিথ্যাচার, উস্কানিমূলক বক্তব্য প্রদান করে আসছে। 

তিনি আরো বলেন, নির্বাচনের সময় আসলেই বিএনপি যে কোন উপায়ে ক্ষমতা দখলের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে। নির্বাচন ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়। তাদের বোঝা উচিত জনগণের জন্য কিছু না করে শুধু বাগাড়ম্বর বক্তৃতা-বিবৃতি প্রদান করে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ক্ষমতায় আসীন হওয়া যায় না। বিএনপি যখনই ক্ষমতায় এসেছে তখনই নিজেদের স্বার্থ হাসিলে গণবিরোধী সিদ্ধান্ত গ্রহণের মধ্য দিয়ে জনগণের উপর নির্যাতনের স্টিম রোলার চালিয়েছে। অন্যদিকে আগামী নির্বাচনী বৈতরণী পার হওয়ার জন্যও তারা জনগণের সামনে সুনির্দিষ্ট কোন পরিকল্পনা তুলে ধরতে পারছে না। তাই বিএনপি নেতৃবৃন্দ জাতির সামনে বিভ্রান্তিকর বক্তৃতা ও বিবৃতি প্রদান করে চলেছে। বাঙালি জাতি সর্বদা আত্মবিশ্বাসী জাতি। জনগণের আত্মবিশ্বাস ধ্বংস করা কোন রাজনৈতিক দলের উদ্দেশ্য হতে পারে না। আমি বিএনপি নেতৃবৃন্দের প্রতি আহ্বান জানাবো, সামনের সংকট মোকাবিলার জন্য উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগার না করে দেশ ও মানুষের কল্যাণে কাজ করুন। তাতে দেশের মানুষ উপকৃত হবে এবং রাজনৈতিক সংস্কৃতি সমৃদ্ধ হবে।