তাড়াও হাসিনা বাঁচাও দেশ : গয়েশ্বর

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, আন্দোলনে সহযোদ্ধার প্রতি দরদ না থাকলে যুদ্ধে জয়লাভ করা যায় না। যুদ্ধে জয়লাভ করতে হলে লোভ লালসা ত্যাগ করতে হবে। মনে রাখতে হবে ভোগ ভোগান্তি বাড়ায়; ত্যাগ মানুষকে মহৎ করে। আশা করি ত্যাগের মধ্যদিয়ে তারেক রহমানের নেতৃত্ব সফল আন্দোলনে গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়তে পারব। সেই কারণে আবার বলছি, তাড়াও হাসিনা বাঁচাও দেশ, টেক ব্যাক বাংলাদেশ।

আজ (২২ জুলাই) শুক্রবার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা-জাসাস সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। উপজেলা সভাপতি জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক বিকাল চন্দ্র সরকারের পরিচালনায় সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন বিএনপির নির্বাহী সদস্য নিপুণ রায় চৌধুরী, জাসাসের সদস্য সচিব জাকির হোসেন রোকন, কেন্দ্রীয় নেতা জাহিদুল আলম হিটো, ফরহাদ হোসেন নিয়ন, এবিএম সোহেল রশিদ, এনামুল হক জুয়েল, মাজহারুল ইসলাম খান পায়েল, আহসান হাবীব, ঢাকা মহানগরের আনোয়ার হোসেন আনু, হারুনুর রশিদ প্রমুখ।

গয়েশ্বর বলেন, আওয়ামী লীগ নেতাদের রাজনৈতিক পুঁজি নেই, দলটির নেতারা খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে নিয়ে নানা কটূক্তি করে। ওদের রাজনৈতিক পুঁজি থাকলে এসব বলতে হতো না। আওয়ামী লীগ জনগণকে আসল কথা না বলে নকল কথা বলছে। তারা মনে করছে, আমাদের ঠকাচ্ছে। আসলে মনের অজান্তে তারাই ঠকছে। পাপের বোঝা তাদের ভারী হচ্ছে। আওয়ামী লীগের পতন অনিবার্য। বিএনপিতে কোনো দালালের জায়গা হবে না। বিএনপির স্বার্থে বিএনপি করতে হবে। আর যারা নিজের স্বার্থে বিএনপি করতে চান তারা ঘরে বসে থাকুন। বিএনপি ক্ষমতায় আসলে দেশ ও জনগণের সম্পদ লুটপাট করে অন্যায়ভাবে বাড়ি-গাড়ির মালিক কেউ যদি হতে চান তাদের ছাড় দেওয়া হবে না। এ সময় ক্ষণিকের জন্য ভালো থাকতে দলের যারা সরকারের বিভিন্ন এজেন্সির সঙ্গে ঘোরাফেরা করেন তাদের সতর্ক করে দেন তিনি।

তিনি আরো বলেন, আমাদের হাতে একটা অস্ত্র আছে, তা হচ্ছে আমরা শুধুমাত্র এই সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করব না। আর যারা নির্বাচনে যাওয়ার জন্য ডানে বামে ঘোরাফেরা করবেন, ঘরতো সোজা করতে পারব। বাইরে না হয় না পারলাম। এই কাজটা করতে কেউ দ্বিধা করবেন না। কোনো দালালের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেওয়ার জায়গা বিএনপির নয়। তারেক রহমান বিএনপি জনগণের ভাগ্য, স্বার্থ এবং গণতান্ত্রিক অধিকার, স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষার আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। দেশ ও জনগণের স্বার্থে তার এই গণতান্ত্রিক আন্দোলন, খালেদা জিয়ার গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সফলতার মধ্য দিয়ে ১৯৭১’র মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ আমরা প্রতিষ্ঠিত করব। এই আন্দোলনে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে রাজপথে নামতে হবে।