রহমত ডেস্ক 20 July, 2022 06:42 PM
বিগত এক দশকে ১০টির বেশি রাসায়নিক দুর্ঘটনায় শতাধিক প্রাণহানি ও কয়েক কোটি টাকা মূল্যের সম্পদ নষ্ট হয়েছে। বিষয়টি উদ্বেগজনক বলে জানিয়ে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ-সিপিডি মনে করে, নব্বই দশকে রাসায়ানিক বা কেমিক্যালজনিত আগ্নিকাণ্ড কম ছিল, যা ২০১০ সালের পর বেড়েছে। বাংলাদেশে ক্রমাগত শিল্পায়নের পাশাপাশি রাসায়নিকের ব্যবহারও বাড়ছে। বিভিন্ন কারখানায় কাঁচামাল হিসাবে কেমিক্যালও ব্যবহৃত হচ্ছে। শিল্পায়নের এ উন্নতি রাসায়নিক দুর্ঘটনা বাড়াতে পারে।
আজ (২০ জুলাই) বুধবার দুপুরে সিপিডির কার্যালয়ে ‘রাসায়নিক ও বিপজ্জনক পণ্যের আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে শিল্প নিরাপত্তা: চট্টগ্রামের ইনল্যান্ড কনটেইনার ডিপো-আইসিডি দুর্ঘটনার অভিজ্ঞতা’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিমত জানায় সংস্থাটি। সিপিডির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম সংবাদ সম্মেলনে মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, ‘আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক পর্যায়ের চাহিদার কারণে ভবিষ্যতে বাংলাদেশ ক্রমান্বয়ে শিল্পায়নের কেন্দ্র হয়ে দাঁড়াবে। বাংলাদেশও এরই মধ্যে অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন ধরনের অঞ্চল গড়ে তুলেছে। এগুলো শিল্পায়নের বড় ভূমিকা রাখবে। ক্রমান্বয়ে আমাদের অর্থনৈতিক অবস্থার পরিবর্তন হচ্ছে। স্বল্পউন্নত দেশ থেকে আমরা উত্তরণ ঘটাচ্ছি।’
সীতাকুণ্ডে বিএম ডিপোতে বিস্ফোরণের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘ডিপোর ২৭টি কনটেইনারে বিপজ্জনক রাসায়নিক হাইড্রোজেন পার অক্সাইড ছিল, যার মধ্যে ১৫টি বিস্ফোরিত হয়েছে। রাসায়ানিকের তথ্য না জানা এবং সেই ধরনের প্রস্তুতি না থাকায় সেখানে ১২ জন অগ্নিনির্বাপক কর্মী প্রাণ হারিয়েছেন। এসময় জনবসতির বাইরে এমন রাসায়নিক হ্যান্ডেলিংয়ের ব্যবস্থা করা, রাসায়নিক সম্পৃক্ত সব মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের মধ্যে সমন্বয়, ডিপোতে পর্যাপ্ত অগ্নিনিরাপত্তা সরঞ্জাম রাখা, রাসায়ানিক থাকা ডিপোকে রেড ক্যাটাগরিতে চিহ্নিত করাসহ বেশ কিছু সুপারিশ করেছে সিপিডি।